ভুৃলে গিয়ে ভালো আছো।
তুমি বিহীন এই আমি
ভালো থাকার সংজ্ঞা ভুলে গেছি।
বেঁচে আছি- এতটুকু বলতে পারি!
তুমি যেনো প্রকৃতির সাথে মিশে আছো-
আমি যেথায়  যাই, যেদিকে তাকাই শুধু তোমাকেই দেখি।
তবু জানতে চাই
কাটছে কেমন তোমার বৃষ্টি ভেঁজা দিন, তারার মেলা সন্ধ্যায়?

কথা ছিলো,
প্রতিটি সন্ধ্যায় পাশাপাশি বসে তারা গুনবো দুজনে!
এখন তোমার ঝলমলে আকাশ, আর আমার অমাবস্যা।

আমার আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা, দুঃখের বর্জ্রপাত।
প্রতিটা মুহূর্ত ভেঙে খান-খান করে সমগ্র স্বপ্নরাজ্য।

তোমার আলতা রাঙা পায়ের, ছমছম নূপুরের শব্দ আজও বেঁজে যায় মনের কানে।
শিশির ভেজা সরষে ফুলের কসম
পথের ধারেই বসে থাকি এই আমি
শুধু তোমার অপেক্ষায়।

প্রেয়সীর পায়ের নূপুরের ছন্দে যে সুখ থাকে,
অন্য কেউ জানে কি না
তা আমি জানি না,
তবে আমি জানি..
নিত্য পায়ে পায়ে খুঁজি সেই সুখ।
আর দোলে যাই পিশে যাই, মিশে যাই ধুলোর মাঝে,
পাই না তবুও!

অনেক দিন পর গতরাতে চাঁদ দেখলাম।
জানো.
চাঁদের পাশে একটা ছোট্ট তারা মিটমিট করে জ্বলছে,
ঠিক তোমারই ঠোঁটের পাশে কালো তিলের মতো।
তোমার ঐ গোলাপ-রাঙ্গা ঠোঁটের পাশে কালো তিল, স্রষ্টার আশীর্বাদ তুল্য।
কেমন আছে সে তিল, আগের মতোই....?
নাকি ধনীর স্ত্রী হবার সুবাদে মেকআপের আস্তরণে ঢাকা পরে গেছে আমার মতোই?

পারস্যের কবি মির্জা গালিব বলেছেন -" প্রেয়সী যতদূরে যায়, প্রেম ততো গভীর হয়"!
হয়তো আমিও
এই বিশাল পৃথিবীর গভীর থেকে গভীরে যেতে যেতে
কবেই তোমার মন থেকে হারিয়ে গেছি আবর্জনার ধ্বংসস্তূপে।

যদিও আমার এই পত্রটি তোমার কাছে পৌঁছাবে না কোনদিন!
তবুও আকাশের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিলাম। বৃষ্টি হয়ে নামুক একদিন তোমার বারান্দায়,
তবে সেই দিন আমি কিঞ্চিৎ আনন্দিত হব।
তবুও স্রষ্টার কাছে আমার প্রার্থনা এটুকুই,
সুখ আর শান্তিতে ভরে থাক তোমার জীবন।