আজ হারিয়ে যাওয়া অরণ্যের গভীরে ডাহুকের ডাক শুনলাম,
শুনলাম উড়নচণ্ডী বাওলা বাতাসে ঝরেপড়া ঝরাপাতার গান,
আমার অন্তরের ভিতর বাহির হলো আবেগীত ও পুলকিত।
আমার আকাঙ্ক্ষার বারনভূমি অনিন্দ্যসুন্দর যা চেয়ে দেখিনি কখনো,আমার পায়ের মৃদুমন্দ শব্দে,কাচুমাচু করে সরে বসলো ছোট্ট টুনটুনি লজ্জায় হোক বা ভয়ে ।
দৃষ্টিনন্দিত টুনটুনির বাসর দেখে,
আমার ভিতরের সমস্ত আগুন পুনর্বার আবর্তিত হলো,
জেগে উঠলো অস্তিত্ব নাড়া দিয়ে।
ঢালু পাহাড়ের গাত্র,বেয়ে বেয়ে, ঝুলেপড়ালতারা স্নান করছে ঝর্নার স্রোতে নগ্ন হয়ে !
মনে হচ্ছে মৎস্যকন্যা রূপে ফর্সা উরু ছুঁয়ে দেখি, বলি কি লাবণ্য শরীর ?
কি অদ্ভুত তার ঘ্রাণ ?
আমি কি করবো বলো ?
হয়েছি দৃষ্টিচোরা,ফেরাতে পারিনি দুটি চোখ,
তুমি ছোট্ট ছোট্ট ঢেউয়ে ডুব দিচ্ছো,
তোমার ফর্সা বক্ষখানী হিমালয়ের মত জলের উপর,
যেন সমস্ত পৃথিবীর রূপ,রস সুধা নিয়ে দাঁড়িয়ে ।
বৃষ্টি ঝড়ছে ! সমুদ্রবাতাস শঙ্খচিল'কে দিচ্ছে তাড়িয়ে,ভেজা রাস্তায় খালি পায়ে হাঁটছে জল,টুপটাপ শব্দ করে,
হঠাৎ হঠাৎ শিশ দিয়ে পালিয়ে যায় ছোট্ট দোয়েল ।
আমি বারংবার হারাতে চাই,
অজানা অচেনা অরণ্যে ঘেরা সেই পাহাড়ে,
হারাতে চাই শালমহুয়ার বনে মনের অজান্তে ।