হৃদয়ে অতল গহীনে তোমার সৃষ্টি,
আমাকে চিনল না তোমার অবহেলার দৃষ্টি।
পরাণের পরতে পরতে তোমার বসবাস,
ভাবিনি বিন্দু বিন্দু গড়ে চলেছি আমার সর্বনাশ।

তুমি অগ্নি, তুমি দাবানল, তুমি ধ্বংস, তুমি প্রলয়,
চিরচেনা তুমি দিব্য জ্যোতি, তুমি প্রেম-বিদ্যালয়।
মরুর তপ্ত বালির দেশে,তুমি নির্জলা অনুভবে,
তৃষ্ণার্ত আমি অতৃপ্ত বাসনার ভবে।

তুমি মোর থাক পাশে,
চাঁদ শুভ্র জোছনা রাতে,
একবার ভাব কত সুখ তাতে।
থাক অনুভবে, থাক ছন্দে,
মনের গহীনে পুলক আনন্দে।

দাবদাহে তুমি, তুমি বর্ষার বর্ষণে,
কাশবনে তুমি, তুমি আছ নবান্নে।
আছ কুয়াশার চাদরে,
আছ বসন্ত আদরে।
বুড়ো হবো তোমার সঙ্গে,
সার্থক জনম জন্মেছি এই বঙ্গে।

সবই মিছে চাওয়া,
তোমাকে হলোনা পাওয়া।
তোমায় ভালবাসা এ আমার পাপ,
তোমার শাপ থেকে নেইকো মাপ।
তোমায় ভালবেসে নেই ক্ষমা,
আমার জীবন টাই তোমার জন্য জমা।

দু-দন্ড হারাতে চাইনা তুমি হীনা,
লাগামহীন সময় তো আর কড়িতে নয় কেনা।
নীরবে চেয়েছি তোমায় হৃদয় মাঝে,
ভেবেছি বলবে ভালবাসি সকাল-দুপুর সাঁঝে।
তোমাকে ভালবাসি দেহ, মন প্রাণে,
নব নব চাই তোমায় বসন্ত গানে গানে।

যা চেয়েছিলাম সর্বশ দিলে, নয়তো  মোর তরে,
বিলিয়ে দিলে তুমি সব অন্যের ঘরে।
কানায় কানায় পূর্ণ রাজা-মহারাজা,
ভিক্ষুক বেশে পেলাম  অন্যায় দন্ড-সাজা।
কি পাপ! কি দোষ! করেছি সখি,
সতত বক্ষ মাঝে তোমাকেই দেখি।