লজ্জা আজকে মূর্ছা গেছে হারিয়ে গেছে বুদ্ধি,
সম্মান আজ হনন হচ্ছে, আত্মার নেই শুদ্ধি।
মানুষ আর মানুষ নেইকো, ক্ষমতালোভী পাষাণ,
তাইতো রোজই জ্বলছে যে মান, হচ্ছে হুঁশের ভাসান।
নারীর নাড়ির যোগসূত্রে জন্ম নেওয়া মানুষ
সেই নারীকেই ধর্ষণ করে, পৌরুষের মিছে ফানুস
উড়িয়ে বেড়ায়, গুঁড়িয়ে বেড়ায় মনুষ্যত্ব স্তম্ভ,
আমরা শুধু এসব দেখি হয়ে পড়ি হতবম্ভ।
মেয়েগুলো আজ নগ্ন হয়ে দেখলো পথে হেঁটে,
আমরা সবাই দেখছি সবই মুখে কুলুপ এঁটে।
অসহায়তার দোহাই দেবে, পাবে এমন কাকে?
ওরা তো কেউ মানুষই নয়, এই সমাজের পাঁকে।
ধর্ষিত হলো গণ পৌরুষে, এটাই শেষ নাকি!
গণ চক্ষুতে, গণ মাধ্যমে আর কি রইলো বাকি?
মোমবাতি গুলো হারিয়ে গেছে অত্যাচারীর ঘরে
স্ফুলিঙ্গের আর পাইনা দেখা নির্ভয়ার পরে।
তবে মাঝে মাঝে ভাবি কি লাভ এসব কথা বলে,
কিছুক্ষণের আবেগ, তারপর সবাই যাবে ভুলে।
আমরা তো আর মানুষই নই, নেইকো হুঁশ বা মান,
আমরা হলাম বোবা দর্শক এবং ধর্ষকও সমান।
নারী গো তুমি সর্বহারা, তাই ছিলে তাই রবে
তোমার চোখের দাম পাবেনা কখনোই এই ভবে।
তবু কবির লজ্জা মিশৃত এই কাব্য কোরো জমা
নারী গো ফের তোমার কাছে চাইছি আমি ক্ষমা।।।