যেরকম খেতে দিয়ে গেছো
ওরকমই পড়ে আছে বাটিটা,
পাশে চশমাটা,জলের গ্লাস,এটা ওটা,
পড়িয়ে ফিরেছো, বেলা গড়িয়েছে,
দুপুরে আবার সেলাই নিয়ে বসবে,
দুটো পয়সা আসে তাতে,
স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি আজ দু বছর,
বাবার ব্রেন স্ট্রোক আজ দেড় বছর,
সন্ধেবেলায় বাড়িতে আসে ছাত্র-ছাত্রী,
তারপর রাতের রুটি,
মা বেঁচে থাকলে এত ঝক্কি পোহাতে হতো না,
তারপর প্রেমিকের ফোন আসে,
নতুন প্রেমিক তাই কথা বেশি বলতে হয়,
সব বেশি বেশি কথার মধ্যে যে অনিশ্চয়তা,
প্রত্যেক কথার মধ্যে যে বেশি বেশি,
উপলব্ধি থাই জড়িয়ে,হাঁটু গড়িয়ে
পায়ের কাছে, কথায় কথায়
বলতে হয় খুঁটিনাটি,
সারাদিনের সব কথা জমাতে হয়,
বলতে হয় কাক মুখে নিয়ে মুড়ি উড়ে গেছে,
বলতে হয় সোনা মুগের ডাল রেঁধেছ আজ,
কে জানে এসব কথা কতদিন ভালো লাগবে তার,
এমন ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে অন্যেরা কী সব কথা বলে,
সেসব জেনেছ কৌশলে,
ওসব কথা বলতে তোমার রুচিতে বাঁধে,
কিন্তু যদি আবার ছাড়াছাড়ি হয়,
হাঁটু থেকে উপলব্ধি গড়িয়ে কি উঠবে থাইয়ে,
যদি সমস্ত আবেদন কালো সাদা
বেড়ালটা এঁটো মুখে তুলে নিয়ে যায়,
তাই তুমি কথা বলে যাও,
প্রসঙ্গের পর প্রসঙ্গ,
গ্রীষ্মকালের পরে বর্ষাকাল,
আম ,তরমুজ থেকে জামরুল,
অবশ বিকেল থেকে রোববারের চুম্বন,
ভোররাতে মাথার কাছে বিয়ের বয়স এসে দাঁড়ায়,
তুমি কি তাকেও কিছু কথা দিয়েছিলে।।

।।রহিত ঘোষাল।।