একদিনে দু'টো সকাল,
এরকম সকালে মেঘ ডাকলে তাকে খাঁচায় বন্দী করে রাখতে পারি না,বিদ্যুৎ চমকালে আকাশও চমকায়।
অনেকদূর সাথে চলার কথা দিয়েছে,আমি কথা নিয়ে নেওয়ার পরেও সেই ক'থা ফিরিয়ে নিয়েছে।
ওরা যারা মাঠে-ঘাটে নেমে পড়েছে,ওদের কাধের ঝোলাতে মিষ্টির হাঁড়ি থেকে পুকুরে ঝাঁপ সবই‌ আছে।

একটি গর্তের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে অতীতকে চোখের সামনে স্পষ্ট দেখতে পাওয়ার মতো কৌতুহল,ভূতে পাওয়া বেঁকে যাওয়া মেরুদণ্ড নরকের সব থেকে ভয়ার্ত চিৎকার দিয়ে আবার ফিরে যায় পবিত্রতার শ্রীচরণে।

তাকিয়ে থাকে রং চটা দেওয়ালের ফাটলের দিকে রক্তজবা,গোঁফে লেগে থাকে দু'টি দেহের সম্মতি,
আমিও বাজেয়াপ্ত করে নেই সেদ্ধ ছোলা,
পারা গিলে খাওয়া শিশুর ঠোঁট
আমি সূর্যের আলোর দিকে ছুড়ে দিলাম,তবে কোন সময়কার আলো সেটা তুমি ঠিক করে দাও।

দিন দিন ক্ষয়ে যেতে থাকা-
দিন দিন বেড়ে উঠতে থাকা-
একদম পাশাপাশি গা ঘেঁষে ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকে,
টিনের ছাওনির ফাঁক দিয়ে মার্বেল পাথরকে জ্ঞান দেওয়া,অন্য দিক থেকে অবাঞ্ছিত কুপ্রস্তাব,
তারপর তালা লাগিয়ে কিছুটা মুক্তি পায় প্রথম বার্ধক্য।

চামচে করে মুখের কাছে ধরা জীবন।
প্রথম বয়সে চালাকি করতে গিয়ে করে ফেলা ভুল,
বুক বাজিয়ে বাজিয়ে মিথ্যে কথা প্রতিষ্ঠা করা,ওর মতো একই পথ নিচ্ছে ওর মেয়ে,ওর মেয়েটাও পালিয়ে যাবে পাশের পাড়ার ছেলেটার সাথে,খুব ভোরবেলা পুলিশ আসবে,একজন দুজন দাঁত মাজতে মাজতে- ফেনা ফেলতে ফেলতে পুলিশকে পথ দেখাবে!
এরকমটা আমার এবং তোমার উভয়ের পাড়াতেই ঘটবে।

কচুরিকে-কাচৌরি বলে যারা তাদের দোকান থেকে সকালের খাবার এলো সাথে এলো ঢেঁকুর,
একটা দমকলের সাথে একটা মরার গাড়ির মুখোমুখি ধাক্কা।শেষ রাতে যারা বাঁধের জল ছেড়ে দিয়েছে
তাদের বউ-বাচ্চা গলায় দড়ি দিক,এই কথা এক দার্শনিক বলে যাচ্ছে সকালের মাছ বাজারের
আঁষ্টে গন্ধ মাখা ভিড়ের দিকে।।

।।রহিত ঘোষাল।।