একটি ছেলে রোজ সকালে
উপোষ বেরোয় পথে,
শুকনো দেহে মলিন মুখে
পট্টি নিয়ে কাঁধে।

ধ্যান তাহার নিচু শিরে
ধনীর ফিকে জুতায়,
দাওনা ওভাই জুতা জোড়া
পেট নাচিছে ক্ষুধায়।

কালি আছে সেলাই আছে
চাইলে দেবো পুছে,
ধনী বলে থাকরে বাবা
সবে এনেছি মুছে।

সকাল তাহার এমনি গেল
ক্ষুদায় মরি বলে,
উপোষ জেনেও দেয়নি কেহ
খাবার মুখে তুলে।

মাথার উপর সূর্যি এসে
দুপুর যখন হলো
উপর থেকে নামিয়া তখন
সুদর্শন বাবু এলো।

বললো এসে ছোকরা তুমি
জুতো ভালো সারাও?
তলা খানি ছুটে গেছে
আঠা তাতে লাগাও।

দিচ্ছি আমি জলদি সেরে
আপনি বরং জিরোন,
রঙখানাও যে উঠে গেছে
গত বৃষ্টির দরুন।

এই বলিয়া মুচি খোকা
সুন্দর করিলো বুট,
খুশি  হইয়া বাবু দিলেন
কুড়ি টাকার দু-নোট।

বাবু
বললো,খোকা দেখা হবে
এখন তবে আসি,

খোকা
কুড়ি দু-নোট হাতে নিয়ে
সেদিন ফিরলো বাড়ি।