প্রিয়তমা,
এখনো কি তোমার বাগানে গোলাপ ফুল ফুটে?
আর মৌমাছিরা সারি সারি এসে তাতে গন্ধ নেয়!
আমারও না গোলাপ খুব পছন্দ
ইচ্ছে করে তোমার বাগানের মালী হয়ে আজীবন তোমার রয়।

কতদিন তোমার খোঁপার গোলাপ নামিয়ে নাক ভরে মৃদু নিশ্বাস নিই না!কিন্তু সুযোগটা পাচ্ছি কয়?
আজ তুমিহীনা ছ'টা বসন্ত গেল
তুমি হয়তো আবদ্ধ কোন নিবীর বন্ধনে, জানো,এখনও না মাঝরাতে হুট-হাট করেই ঘুম ভাঙে,
কে যেন এসে ডেকে যায়
তখন কেবল তোমার কথাই মনে পরে!
আর তখন তোমার দেওয়া প্রমিস ভেঙ্গে সিগারেট'টা ফুকঁতেই ভালো লাগে।

এখন রাত তিনটা।
পাশে আমার সদ্য বিবাহীত অর্ধাঙ্গী
গভীর ঘুমে  মগ্ন।
আমি তোমার সাথে অতিবাহিত দিনগুলির স্মৃতি
যেন কিছুতেই মুছতে পারছিনা
আমি তোমার দেওয়া সেই ডায়েরিটা এখনও রেখেছি ওয়ারড্রবে স্ব-যত্নেই
আর তাতেই এখন কথা গুলো লিখছি।
চোখে জল টলমল করছে কিন্তু আমি যে আমার ভালোবাসার স্মৃতিকে কখনো অশ্রু ছূঁতে দিইনা!

ওহ!তোমার বাগানের যেই প্রথম ফুলটা
দিয়েছিলে না আমাকে,
আমি তার ক'টা পাপঁড়ি এই ডায়েরিতেই রেখেছিলাম।
একটা পাপঁড়িতে আমার নামের সাথে যোগ এঁটে তোমার নামটিও লিখেছিলাম।
পাপঁড়ি গুলো আজ বর্নহীন,
নাম গুলিও খুব অস্পষ্ট
হয়তো নাম গুলি মুছে গেলেই আমার মৃত্যু অনিবার্য।