(পিতা বলিছেন পুত্ররে:)
পৃথিবীর বুকে যতদিন ধরে
করিবে বিচরণ
জানিও আমার আশিষ তুমি
পাইবে অনুক্ষন
(পিতার বাকি কথা না শুনিয়া পুত্র ছুটিল। সে ভাবল পিতা যখন বলেছেন আশীষ রইল, তখন আমি আশীষ লইয়াই....)
পৃথিবীর প্রথম ধূলিকণা হইতে
শেষ সূর্যালোক
অথবা সুদূর মহাকাশ ছাড়িয়া
অলৌকিক দ্যুলোক
কিংবা আকাশের তারার দেশে
মেঘের ঘনছায়
মাটির বুকের শীতল ছোঁয়ায়
নদীর বাহিকায়
তপ্ত বালুর সমুদ্র নামক
দ্বিতীয় নরকে
মহাজলধির ক্রোধরূপ কোন
মৃত্যু ঘূর্নিপাকে
দূর পাহাড়ের সুউচ্চ শৃঙ্গ
গিরির ফাঁদ
গহীন অরন্যের বিভিষিকা ও
করুন আর্তনাদ
(অবশেষে বার্ধক্য বেলায় পুত্রের মনে পড়িল পিতা আরো কি যেন বলিতেছিল। পিতার বাকি কথা যা পুত্র শুনিল না....)
সর্বসদা পিতারে তোমরা
করিবে স্মরণ
বাঁচে না কেউ আসিবে
জেনো একদিন মরণ
(আমাদের উপলব্ধি-)
তোমরা ভুলেছ
আদি পিতার মৃত্যুরূপ
তিনিই আবার দিয়েছেন
আশীষ করুণা সিন্ধুরূপ