রুদ্ধশ্বাস, অতঃপর ল্যান্ডিং
*******************************************
সেদিন
রিকশায় আমরা দু'জন
দিগন্ত বিস্তৃত মাঠের ওপার থেকে
মুক্ত এক মুঠো বাতাস এসে ভিজিয়ে দেয়
শীত শীত, শীতার্থ-বুবুক্ষুর মত উষ্ণতার লোভে
একে অপরের দিকে চেপে বসি, শরীরের উষ্ণতাময়
উপভোগ করি কিছুকাল, আকাশজোড়া মেঘে ঢাকা থাকলে
এই শীত আরো পাকাপোক্ত হত, ওর দু’চোখের ভাষা তাই বলে
রুদ্র সূর্য্যের অবারিত সৌম্য কিরনে দু’জনেই ঘামতে ঘামতে
বরফ শীতল উষ্ণতায়, অল্প একটু ছোঁয়ায়, গায়ে দেয় কাঁটা
হাতটাকে কোথাও রাখা যায় না স্থির, খুব বেমানান লাগে
ওর অবাধ্য চুল কপোলে নেই, তবু হাতটা ঘুরে আসে
হাতের পাশে স্থির হয় হাত, রক্তের তুফান ওঠে
হঠাৎ ঝাকুনিতে আমার হাতটা ওর হাতে ল্যান্ডিং করে
ঝাঁকুনি থেমে যায়, হাতটা রয়ে যায়, ক্ষত-বিক্ষত রাস্তা নায়ক হয়ে ওঠে