কি অদ্ভুত সেই দাবি, সে ভাবলোনা একবারও
ঠাসাঠাসি করে বেড়ে ওঠা ঘরগুলোর সামনে
অদ্ভুত লজ্জা নিয়ে সংকীর্ণ উঠান
তাতে ঠাঁই পায় গাঁদা, গোলাপ, জবার গাছ
এটা আসলে সোন্দর্য? নাকি উদারতার প্রকাশ?
এসবের মাঝে থেকেও সে করলো অদ্ভুত দাবি
ঘরগুলোর চালে টিনের ছড়াছড়ি, দখলের দৌরাত্ম
নিবিড় মায়ায় ওগুলোর সাথে জড়ানো কুমড়ো গাছ সর্বত্র
টিনগুলো ওগুলোর কারনে ক্ষত বিক্ষত, রক্তাক্ত
তবু বন্ধন ছিঁড়ে না সে, মায়া কাটানো শক্ত
ঈর্ষা করার মত মায়ার মাঝে থেকেও সে করলো অদ্ভুত দাবি
সে ভাবলোনা আমার কথা, আমার স্বপ্নের কথা
পরম মমতায় ঠোঁট ঘষাঘষি
আছে ভালবাসার মিষ্টি উপস্থিতি
ওখানে ঐ ঘরের কোনে যেখানে লালিত পালিত
হচ্ছে এক জোড়া কপোত-কপোতী
হচ্ছে বাক-বাকুম ডাকে ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ
তুমি ভাবলেনা ওদের কথা, করে বসলে দাবি, অদ্ভুত।
তুমি ভাবলেনা আমার কথা, কি অদ্ভুত তুমি
আকাশের রংয়ে রাঙ্গানো নীল পুকুরে
ঝির ঝির বাতাস যে ঢেউ তোলে
তাতে ভেসে বেড়ানো হংস মিথুন
ভাবনা চিন্তার বিষয় এটি নয় বাতাস পুরনো কি নতুন
ভাবনার বিষয় একজোড়া হংস মিথুন
তুমি কি নিষ্ঠুর, অপূর্ব তোমার অদ্ভুত দাবি
আমার কথা তুমি মানলে না।
উপরে আকাশের বন্ধু বাতাসের সাথে
সখ্য গড়ে তোলে দুইটি পাখি
তাদের ছড়ানো ডানা, ঝাপটায় বারবার
বাতাস রাগ করে না, দেয়না বকা
হুংকার ছাড়ে না, আদেশ করে না সরবার
সে ওড়ায় তাদের, আলতো শোঁ শোঁ ডাকি
কেন জান, ওখানে ওদের মাঝে
গভীর ভালবাসা আছে
তুমি বোঝ না তাই করেছো কি দাবি
অদ্ভুত দাবিতে অদ্ভুত তুমি
এইসব অসম্ভব ভাললাগা মুহূর্তে, তুমি
বললে আমায় ছাড়া একাই বাঁচতে পারবে তুমি
আরও বললে, ভুলে যাও আমাকে একাই থাকতে দাও
তোমার অদ্ভুত দাবি
কি নিষ্ঠুর তুমি, অদ্ভুত তুমি, যে তুমি
আমার ঘুম ভাঙ্গাতে পাখি ডাকা সকালে
আজ আমার ঘুম তুমি চুরি করে নিলে
তোমার অদ্ভুত দাবিতে
কান্নায় ভেঙ্গে পড়ি আমি
ভাবি কি অদ্ভুত তুমি, তোমার দাবি।