অমাবস্যার কোন এক মধ্য রাতে চমকে জেগে উঠি
কৃষ্ণাভ রাতে হাত পা ছড়িয়ে আমার পাশে শুয়ে থাকা
দুর্গন্ধযুক্ত, পাংশুর, শতবর্ষী, বৃদ্ধাংদেহী জীবনকে বলি- কেমন আছ?
উদভ্রান্ত মুখ তুলে, হলদে বিবর্ন হাসিতে, গলায় ফাঁস লাগা স্বরে
ঢুকরে কেঁপে উঠে জীবন, বহু চেষ্টায় দুটো কথা কয়, নিরলিপ্ত নিষ্পলক দৃষ্টি
.... দেখ দেখ কেমন সাড়াশির মত আকড়ে ধরেছে, মুখস্ত মানুষগুলো আমায়
সপ্তর্ষীমন্ডলের রূপোলী আলোর নিচে, তাদের জীবনের লুব্রিকেন্ট
ঐ রাজনীতি, স্বজনপ্রীতি, মিথ্যাচার, যৌনতা, ব্যাভিচার, রাহাজানি, অনাচার
এবং এবং খুন... সেই সাথে বাসগৃহের পুরনো কাঁথা,
ঘুনে খাওয়া মই, দোমড়ানো বই, সিরিয়ালের দৃশ্যপট
দাগলাগা চাদর, উচ্ছিষ্টে শেওড়া ও তেলাপোকা
তৃতীয় চক্ষু বুজে আসে আমার...
তাদের ঐকান্তিক মূর্খতায়, দীর্ঘশ্বাস আর বেকারত্বে
একঘেয়ে উচ্চকিত হাসি, একসিডেন্ট, গাদা গাদা মেকাপ
ভুরি ভুরি মুখোশ, ভুল ভাষ্য, প্রতারনা ও বর্ধিষ্ণু সৌজন্যতায়
দেখ তুমি খসে পড়েছে আমার হৃদপিন্ড...
অপরিমানদর্শী জ্ঞানহীন নিমগ্নতায়, অবহেলায়, এড়িয়ে যাওয়ায়
ক্ষমতার অক্ষমতায়, নিঃশঙ্কোচ অনুকরন নতুনত্বের নামে
সোন্দর্য্যর নামে লালায়িত জীব ঝুলে পড়ায়, তৃতীয় চোখে আটি বাধায়
আধুনিকতার ধোয়া গেলায় আর আর মৃত কৃত্রিম হৃদপিন্ডের কবিতায়...
পরদিন আফিসে যাবার সময় দেখি আমার গোল্ডফিস স্থির দৃষ্টিতে পেট উল্টে....
আমার বমি আসে, সারাদিন; তারপর দিন, তারপর দিন এবং তারও পরদিন.....