ঐ দেখা যায় নীল আকাশ
নিচে সবুজ ঘাস,
নদী ছুটে চলছে ঐ
চরছে তাতে হাঁস।
নদীর কূলে বাঁশ বনে
মাছরাঙ্গা পাখি,
কুঞ্চি পাতায় বসে যেন
মারছে সে উঁকি।
পদ্ম পাতায় বসে ব্যাঙ
গাইছে যেন গান,
এক পায়ে দাঁড়িয়ে বক
খাচ্ছে বুঝি পান।
শাপলা ফুলের মাঝে ভ্রমর
করছে উড়ো উড়ি
উপেন দাদার ছেলের হাতে
উড়ছে চিলে ঘুড়ি।
শরিষা ক্ষেতে দেখ ঐ
ডাকছে কত পাখি,
আনন্দে তারা যেন
করছে মাতামাতি।
ক্লান্ত মনে দুপুর বেলা
রাখাল বাজায় বাঁশি,
মাঠের মাঝে বটের তলে
ঘন ছায়ায় বসি।
সন্ধ্যা বেলা তখন পাখি
ঘরে ফিরে আসে,
মুয়াজ্জিনের ধ্বনি যখন
বাতাসেতে ভাসে।
দূর্বাঘাসে শিশির বিন্দু
মিটমিটিয়ে হাসে
রাত পেরিয়ে তখন আবার
প্রভাত ফিরে আসে।
এত কিছু বলেও যার
হয় না বলা শেষ,
সে আমার জন্মভুমি
প্রিয় বাংলাদেশ।
রচনাকাল
১৯-০১-২০০২ ইং।