তুমি সুদূর আকাশে ঝিকিমিকি তারার
নীল আলোর পুঞ্জ,
খড়ের ছাউনির ঝিরিঝিরি হাওয়ায়
সু-শীতল ছায়া কুঞ্জ।
তুমি পাপড়ি মেলা গোলাপী গাল
গোলাপী গোলাপী বাসর,
তুমি রঙ্গিন পাখায়
চপল চঞ্চল প্রজাপতির দোসর।
তুমি গোধুলী লগনে বর্ষায় ভেজা
ভ্রমরার ঝিঙে ফুল,
কখনও তুমি শীতের শেষে
মৌ মৌ মাখা মুকুল।
তুমি জ্যোৎস্না রাতে হাসনাহেনা
রাখালিয়া রাখালি সুর,
ফসলের বুকে সোনা মাখা ধান
সোনা ঝরা রোদ্দুর।
তুমি বটের শাঁখে ঝুলে থাকা
সরসী কন্যার চুল,
তুমি বর্ষার দিনে মাধবীলতা
নব-বধুর কানের দুল।
তুমি ফাগুন দিনে চিলের কোটায়
বিকেলের চিলে ঘুড়ি,
তুমি রুন-ঝুনঝুন বোনের হাতে
লাল-গোলাপী চুড়ি।
তুমি বিলের জলে কলমিলতা
শাপলা ফুলের হাসি,
তুমি লাঙ্গল কাঁধে জমির চাষে
কাদামাখা কোন চাষী।
তুমি বরষার দিনে ঘরের কোণে
চড়ুই পাখির আশা,
তুমি তালের বনে তালের পাতায়
বাবুই পাখির বাসা।
তুমি সবুজের বুকে ফ্যাকাসে সবুজ
উড়ন্ত সবুজ পাখি,
শরতের আকাশে আবির রাঙ্গা
মেঘেদের আঁকি-বুকি।
তুমি বাংলার বুকে বাঙ্গালীর মুখে
শিশুর অবুঝ কথা,
তুমি আমার মায়ের দুঃখ সুখ
প্রিয় স্বাধীনতা।
রচনাকাল
১৮-০৭-০৬ খ্রীস্ট।