যখন ওগো থাকবো নাকো!
আমি তোমার পাশে
হয়তো তখন রইব ঢাকা
তৃর্ণলতা ঘাসে।
তুমি কি অশ্রু লয়ে
ভাববে মনে মনে?
শুনবো যখন পাখির গান
ছাঁয়া নিবিড় বনে।
তুমি কি গো একলা মনে
খুলবে স্মৃতির খাতা
ঝরবে যখন আমার বুকে
বাঁশের হলুদ পাতা।
খুজবে কি আর মুখখানি মোর
হাজার লোকের ভিড়ে
বিষক্ত কিট খাবে যখন
আমাই ছিড়ে ছিড়ে।
মাতবে কি আর উচু চূড়াই
সূর্য ডোবা দেখাই
অন্ধাকারের বুকে যখন
থাকবো একা একাই।
আমার ছবি আঁকবে কি আর
ভালবাসা ছলে
কল্পনার রং, পেন্সিল কি
ভেজাবে লোনা জলে।
খোলা ছাদে উঠবে কি আর?
মুঠো ফোনের কথায়
অভিমানে কাদা ছোড়াছুড়ি
খুনসুটি অযথায়।
শিউলি ফোঁটা চাঁদোয়া রাতে
গুনবে কি আর তারা?
যখন আমি রুদ্র ঘরে
কেদেই পাগল-পারা।
গভীর রাতে চুপিচুপি
লিখবে কি আর চিঠি?
"রবি" নাম লিখতে কি আর
চিরবে নদীর মাটি।
নতুন হাতে রাখবে কি আর
তোমার নরম হাত
নাকি তুমি আমায় ভেবে
কাটিয়ে দেবেই রাত।
বারান্দীপাড়া
২৬।০২।২০০৫ খ্রিঃ