অমানিশা ঘোরে , কুয়াশা চাদরে
ক্লান্ত চরণ ও কায়া,
কোথা থামিবে, প্রভাত নামিবে
ভিড়িবে অচল এ নাইয়া।

দাঁড় গুন-কাঠি, শামুকে কাদা মাটি
লোনা রক্তিম জলজ-ময়
দূর গগনে, হিমেল পবনে
উঠিল দারুণ প্রলয়।

শুভ্র শিলা বৃষ্টি, ঘূর্ণির কৃষ্টি
পেখমে তুলিলো ঝংকার
বক্ষদেশ খুলে, উন্মাদ তালে
ঢেউ মাতা ছাড়িল হুংকার।

অমানিশা ঝঞ্ঝায়, ব্যথাতুর অন্তরয়
কিসে করিবে সৃষ্টি ত্রাস
ভুলিলে কি তুমি, যা দিলে তুমি
গোগ্রাসে করিলে গ্রাস।

হায় বিধাতা, এই কি প্রথা?
মরাকেই মারো তুমি,
ভ্রাতা'র হস্তে, সতিন সমস্তে
কাড়িয়া নিল যার স্বামী

কোল জুড়ে মোর, নেমে এলো ভোর
শাওয়ালের চন্দ্র কণা,
আযানে আযানে, বুঝেছিল বাজানে
লুকাবেই সে তৎক্ষনা।

সে হাসিমুখ, এক ফালি সুখ
চমকেই ডুবিলো নদে,
এ অমানিশায়, ছিন্ন দশায়
ফেলিলে নব ফাঁদে।

সামিউল যেথা, ঘুমায় সেথা
সেথায় যাবার সাধ,
অচল এ নাও, ডুবাও ডুবাও
ডুবাও আশার প্রভাত।
                           (বিঃদ্রঃ- এটা একটা বাস্তব জীবনের গল্প নিয়ে লেখা

                                                 রচনাকাল
                                                 বয়রা- ১৬।১০।২০১৮