ওই দেখো—রাতের বুকে জ্বলে অগ্নিশিখা একা,  
সেই তো আমার হৃদয়, হে নিষ্ঠুর মহামেঘা!  
তোমার স্মৃতির মালা গলায় আজ শূলসম ফুটে,  
অশ্রুর সাগরে ভাসে এ জীবনের সব লুটে…  

কে শুনিবে এ বেদনার গান? শূন্যতার গর্ভে  
অম্বর ভেঙে পড়ে যেন রূপালি নক্ষত্র কর্ভে!  
তবুও ডাকি তোমারে—"হে অচিনপুরবাসিনী!"  
বিরহের বিষকন্যা তুমি, আমি তবুও আসিনী…  

সেই চন্দ্রালোকে খুঁজি তোমার চরণের চিহ্ন,  
কিন্তু ধূলির আঁচলে লুকায়ে রেখেছো মিহ্ন!  
বিজন বাতাসে আজ কাঁদে বীণা—তুমি শোনো নি কি?  
প্রতিধ্বনি হয়ে ফেরে: "মরণই শান্তি, ঐ কি?"  

তোমার বিচ্ছেদে এ হৃদয়—মহাপ্রলয়ের শ্মশান,  
যেখানে জ্বলে না আর আশার দীপ—শুধু হাহাকার গান!  
রামের সাগর-সেতু তুমি ভেঙে দিলে এক নিমেষে,  
আমি সীতা-হারা রাবণ—বিস্মৃতি-সিন্ধু দেশে!  

হে কালপুরুষ! তুমি কি এনেছিলে প্রেমের ছলনা?  
মিথ্যে মালা দিলে গলায়—জীবন হল বেদনা!  
একটি চুম্বন দিলে, কিন্তু চুরি করে নিলে প্রাণ—  
বিরহ-অনলে পুড়ে আজ আমি ছাই-সমান…  
..  রচনাকাল
৷  খুলনা- ০৮-০২-২০২৫