তোমার এই অনাকাঙ্খিত,অযাচিত প্রত্যাবর্তন
আমাকে করেছে বিমুগ্ধ,সিক্ত করেছে তিক্ত প্রাণ;
এ এক অভূতপূর্ব অনুভূতির নিদারুণ রসায়ন
প্রকৃতি কভু কারও হৃদে করেনি প্রদান।
প্রথম প্রেমের প্রলয়ঙ্করী ঝড়ে বিধ্বস্ত ভিটায়
দিনেদিনে গজে উঠেছে কতক বেনামী বুনোফুল;
বাস্তবতার চিরায়ত নিয়মে চলে যাচ্ছে জীবন
শুধু হৃদয়ের কোন গোপন পরতে অক্ষত সে হুল।
না পাওয়ার বেদনাকে সামলে নিয়েছি বহু আগেই
তারপরের ভাবনাগুলো একান্তই কবিতার ব্যাঞ্জনা;
এই দুইহাত আর কিছু চায়না,যখন ব্যর্থ হয়েছে
তোমাকে চেয়ে মধ্য রজনীর একাগ্র প্রার্থনা।
আজ যখন পাড় করে এসেছি রঙ্গীন পথের বাক
তোমারই দান কাব্য লাইনে বেধেছি তোমার সীমান্ত;
হঠাৎ তুমি এলে দামামা বাজিয়ে আমার আখ্যানে
তেয় স্তব্ধ হিয়ার ক্লান্ত ঘুমন্ত সব সৈন্য-সামন্ত।
এখনতো চোখের ইশারায় জ্যোৎস্না নামে ধরায়
আঙুলের ছোঁয়ায় হেসে উঠে হাস্নাহেনা;
মস্তিষ্কের পরিশ্রমী নিউরনগুলো বুক চাপড়ে বলে
তব পূজারীর সে দুর্দিনে কেন তুমি এলেনা।
একবার দেখলেই তোমায় দিনমান হতো দৃষ্টিভ্রম
স্বপ্নরা এসে জমাট বেঁধে যেত কাঁচের পেয়ালায়;
এখনো তোমার চোখে ঠাসা আছে কবিতার বর্ণমালা
এখনো হারিয়ে যাই সেই গান আর সুরের মায়ায়।
মম বুকভরা সমস্ত অর্চনা ছিল তব আলোকবর্ষ দূরে
আর আমার চোখের সামনেই ছিল তোমার সজ্জিত ঘর;
আমি নীরবে আমারে পুড়িয়েছি বিরহের চিতানলে
ক্রমে তোমার ঘিরে স্বপ্নগুলোও হয়েছে তাতে জ্বালানি খর।
শুকনো বকুলের মালা তবুও প্রস্তুত বরণ বেলায়
হৃদয় নদীর বাঁকে বাঁকে ক্ষেপেছে তরঙ্গের খেলা;
তোমার প্রত্যাবর্তনে সহসা বহুদিন পর যেন
ধরনীর বুকে বসেছে এক আজব প্রেমের মেলা।