ধুলির ধরায় কে'গো তুমি কত নামে সবে ডাকে তোমায়,
ঈশ্বর যারে সৃজিল যতনে নামে'তে কি আসে বা যায়।
তুৃমি শৈশবেই মাতৃ হারানো লক্ষ শিশুর প্রেরণা,
কোন সে মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে পীড়িতে দিলে শান্তনা।
কোন নির্লোভ অলৌকিকতার ছোঁয়াচ তুমি পেয়েছিলে,
ধনভান্ডার তুচ্ছজ্ঞানেতে মানবে সকলি সঁপিলে।
ধন্য জনম, মানবের কুলে জন্মিলে হৃদয়বান ,
কল্যাণকর দীক্ষা লভিয়া পেয়েছিলে যে বরদান।
কোন-সে সাধকে দীক্ষিত হয়ে অনলে পুড়িলে অহম,
মানবের প্রেমে ব্যকুলতা ভরে পূর্ণ করিলে জনম।
লৌহজং পাড়ে শৈশবে তোমায় কেউ ভেবেছিল কী কভু?
কোন সে স্বপনে ধরাতে তোমায় লালন করিলেন প্রভু।
দেখিতে দেখিতে শৈশব বিলিন সময়ের পরিক্রমায়,
অবুঝ কৈশোরে হৃদ রয় ডুবে নিঃসীমের ভাবনায়।
যাপিত জীবনে মাতৃ হারানো ব্যথা জাগে যে ক্ষণে ক্ষণে,
অভাগী মাতার করুণ মুরতি ভাসে গো কোমল মননে।প্রতিজ্ঞাবদ্ধ চিত্তে তখুনি ব্যথার আলোড়ন জাগে,
চিকিৎসা বিনা ঝরবে না প্রাণ ভাবনা গভীর আবেগে।
রায় বাহাদুর রণদা প্রসাদ সাহা মননে হও অতুল,
মানব সেবায় উৎসর্গ  করিলে ছিলো যতো প্রতুল।
ব্যথিতের প্রাণে আশা জাগানিয়া তুমি উদার মহাপ্রাণ,
নারীর শিক্ষা,স্বাস্থ্য সেবায় রাখিলে তুমি অবদান।
কীর্তিতে তুমি করিছো আসন হৃদয়ের মনিকোঠায়,
কেউ বা রণদা কেউ জ্যাঠামনি কেউ বা নয়নে হারায়।
করিলে স্থাপন জনমনে তুমি প্রীতিময় নিদর্শন,
মানবের প্রেমে সতত নিজেকে করিলে যে সমর্পণ।
মানব সেবায় ভালোবেসে দিলে তুমি জীবন আপনার,
মানুষের হৃদে স্থাপন করিলে তুমি সম্প্রীতি অপার।

<><><><><><><><><><><><><>

কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাষ্ট অব বেঙ্গল এর
শ্রদ্ধেয় প্রতিষ্ঠাতা -

"রায় বাহাদুর রণদা প্রসাদ সাহা স্মরণে"