তৃষিত বাসনা'র জলাঞ্জলি দিয়েছি কবেই
ভাবছি না এখন আর ব্যথিত অতীতের যাতনার কথা
অতি শোকে পাথর হয়েছি এমন কিন্তু একদমই নয়
শুধু মেনে নিয়েছি জীবনের অমোঘ বাস্তবতা

দিশেহারা হই না আর
জানি ঐ দূর অরণ্যের সবুজ আজো দেয় হাতছানি
সকাল সন্ধ্যায় পাখপাখালির কিচিরমিচির মুগ্ধ করে গাঁ
আজো ব্রহ্মপুত্রের তলানিতে চলে পাল তোলা নাও
এই ঘাটের ধূলিকণারা নিত্য নেচে ওঠে কাঙ্ক্ষিত পরশে
মাঝির কণ্ঠের মনমাতানো গান ভোলায় পথিকের মন
আমিই কেবল ভুলেছি আগের সেই প্রফুল্লতা

দিই না ডুব আর কোন মায়া সায়রে
শুকিয়ে যাওয়া নদীর জলশূন্যতায় অভ্যস্থ হয়ছি বেশ
মরুর তপ্ততা রপ্ত করে নিয়েছি সাবলীলতায়
ইস্পাত কাঠিন্যতায় নিতে পারি প্রতিটি সিদ্ধান্ত
নিবিড় দৃঢ়তায় সাজিয়েছি পাথুরে জীবন
তাই আমাকে ছোঁয় না আর একাকীত্বের বিষন্নতা