খুব কী ছিলো দরকার?
এমনি ভাবেই আধিপত্য বিস্তার
সব হারাবার শংকায় ডুবিলে বিবেকহীনতায়!
গণতান্ত্রিক দেশে যা ইচ্ছে তাই কী করা যায়?
রাজনীতির কথা বলছিনা আমি,একদমই না-
নিজেই জড়ীভূত হই এই ভেবে
কত বিতৃষ্ণা,ক্ষোভ হলে সৃষ্টি হয় এমন গণজাগরণ
মা সন্তান নিয়ে করে বিক্ষোভ,ছাত্র-শিক্ষক একাট্টা
ভয়ের দেয়াল ভেঙ্গে মিছিলে উচ্চকণ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের
গায়ক,অভিনেতারাও সোচ্চার গণতন্ত্র পুনঃস্থাপনে
এ বিপ্লবে বাদ যায়নি ফুটপাতের বাদাম বিক্রেতা,
দরিদ্র রিকশাওয়ালা কিংবা খেটে খাওয়া দিন মজুর।
কোটি কোটি মানুষের প্রাণের দাবী মিলেছে এক প্রাণে
তটস্থ নয় ওরা, মুক্তির দাবীতে নেমেছে মৃত্যুর মিছিলে!
কী ভয়ানক দৃশ্য?
এ যেন বায়ান্নের পুনরাবৃত্তি
শাসকগোষ্ঠী আর প্রশাসনের নির্মমতার প্রদর্শনী-
স্বাক্ষী হয়ে রইলো ইতিহাসের পাতায়
আবারো ঝরলো রফিক,জব্বার,সালাম,বরকত
কিংবা নব্বইয়ের ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের জাফর, জয়নাল,ডাঃমিলন,দিপালী সাহা কিংবা
নূর হোসেনের মতো হাজারো তরুণ তাজা প্রাণ!
বীরদর্পে রাইফেলের সম্মুখে ওরা নির্ভয়
আবু সাঈদ,মুগ্ধ,দিপ্ত দে,নবম শ্রেণীর তাহমীদ ভূঁইয়া,
নাইমা সুলতানা,এমন কী বাসার ছাদে খেলতে থাকা
ছয় বছরের রিয়া গোপ তারও প্রাণ যায় ঐ-
পাষণ্ড শাসকগোষ্ঠীর বিবেকহীন নিষ্ঠুর বর্বরতায়!
ওদেরই খুনে আবারো পতন হয় স্বৈরশাসকের
ইতিহাস স্বাক্ষী হলো আরও একটি গণঅভ্যুত্থানের
মুক্তি পায় কোটি কোটি মানুষের বাকস্বাধীনতা।
জয় হলো চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের……
একটা অপশাসন পরাস্ত হলেও
মনের কোণে একটা আফসোস থেকেই গেলো
মুক্তি পেলেও লজ্জিত এই বাংলা
স্বাধীনতার স্থপতি যিনি তারই দুহিতার হাতেই-
নির্মিত হলো দীর্ঘ স্বৈরতন্ত্রের কলঙ্কিত ইতিহাস!