কাঁদিছে ফুকারি সন্তানহারা জননী অই,
সবি হলো ঠিক ঘরছাড়া ঘরে ফিরলো কই।
ভাসিছে জমিনে রক্ত প্লাবন মরিছে কত,
পাগলিনী মা'য় বুক চাপড়ায় হৃদয়ে ক্ষত।

কালের করালে ছুটে শঙ্কায় দিগ্বিদিক,
হুতাশে জননী সন্তান হারা শোকে বাতিক।
নয়নেতে ভাসে রক্তের নদী উঠে আতকে,
রক্তের দাগ যায় কী গো ধোয়া ফের রক্তে।

বর্ষণগোলা থামিছে যখুনি খুঁজিছে মাতা,
শঙ্কিত মন কি জানি ভালে রেখেছে বিধাতা।
অবুঝ জননী করিছে প্রণতি অসীম পানে,
চাই না রাজ্য তবু ছেলে যেনো বাঁচে পরানে।

পথ চেয়ে মাতা বুক বাঁধে তাই নিত্য আশে,
ফিরিয়া আসিবে সন্তান বাঁচে সে বিশ্বাসে।
ছুটিছে জননী সকল দুয়ারে শ্রান্তিহীন,
বুকের মানিক ফিরিবার তরে গুনিছে দিন।

পঞ্জিকা পাল্টায় আসিলো না বুকের ধন,
যতো যায় দিন বুকে বাড়ে যাতনা অনুক্ষণ।
নিয়তির খেলা রাজা যায় আসে নবীন রাজা,
শুধু জননীরা বয়ে যায় ছেলে হারানো সাজা।

কাঁদে চিৎকারী তোমাদের সব চলিছে ভালো
আমার বুকের মানিক কোথায় কে আছো বলো?
কে দিবে জবাব এসো রাজা মুখ লুকালে কই।
কাঁদিছে ফুকারি সন্তানহারা জননী অই।