মানুষে মানুষে বিভেদে দেখিছো তামাশা নয়ন ভরে,
বিচলিত হয় না'কো তব হৃদ ব্যথীতের হাহাকারে।
পাষাণ চিত্তে মানবিক পথ করিছো রুদ্ধদ্বার,
সঙ্কটে সদা জ্বেলেছো আগুন করিয়াছো ছারখার।
বাঁধিয়েছো গোল সজ্ঞানে সদা জাতির মর্মমূলে,
অনাহুত ক্ষোভে একে অপরকে যে পারে তুলিছে শূলে।
ধর্মের নামে করো দল ভারী অন্তরে রাখো ছোরা,
অন্দরে পোষে মারণ ছোবল প্রকাশে ফুলের তোড়া।
আধিক্যতার দাপটে আজিকে মারিছো অন্য জাতি,
আর খানে দ্যাখো কত অসহায় তোমারি আপন জ্ঞাতি।
আঘাতের ব্যথা সকলেরি এক হোক না ভিন্ন কেউ,
কারে মারো হায় জান কি প্রভুর হতে পারে প্রিয় সেও।
ভেদ অভেদের দোলাচলে যতো ইবলিশি কারবারি, জালিমের দলে ধর্মের নামে করে যতো বাটপারি।
মানুষে জন্মে যে মানুষে করে অবজ্ঞা অসমান,
বৃথাই অহম তার মুসলিম, সনাতনী, খ্রীষ্টান।