ভুমিষ্ঠ হয়ে শিশু পৃথিবীর আলোয়
অমৃত সুধা পেয়ে জীবন এগোয়,
হাটি হাটি পায়ে পায়ে দিন গড়ায়
বুকে ঠেলে, হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে যায়।
বড় হয়ে শক্ত পায়েতে দাড়ায়
আছাড় কত খেয়ে এগিয়ে সে যায়,
গুড়িগুড়ি ছোট পায়ে হাটি হাটি যায়
পিতা-মাতার হাত ধরে শক্তি পায়।
একসময়ে সে স্বাবালক হয়
লেখাপড়া অর্জনে স্কুল-কলেজে যায়,
এসব পাঠ শেষে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে
অনেকেই মানুষ হয়, বিবেক বর্জিত হয়ে।
সমাজ সংসার তথা দেশের তরে
অনেকেই কাজ করে গুরুত্ব ভরে,
কেহ আবার প্রকৃতি বর্জিত হয়
আলোকিত হতে চায়, পূর্ণিমায়!
আমরা পূর্ণিমাতেই বেশী খুশি হই
একটু ভাবলেই অমাবশ্যার আধার, দেখতে পাই,
সময়ের কাজ আমরা করি অসময়
ভুলে যাই মোরা, বাতির নিচে আধার সর্বদা রয়।
জীবন সায়াহ্নে লেবাস পাল্টিয়ে
ধারণ করি ধর্ম, নানা বুলি যাই কয়ে,
সঠিক পথেরও দিশা কেহ কেহ পায়
প্রকৃত সুখে তারাই, সর্বদা রয়।
জীবনের গতিপথ বদলাতে হবে
যেজন পারে সহজে, সেইজনই রবে,
আসুন সময় থাকতে গতি পাল্টাই
জীবনের পথে, জীবনকে বিলাই।
***