বয়ে যায়, সন্ধ্যার বায় আসি
রাতের আকাশে চাঁদ তারার হাসাহাসি।
আধফুটন্ত বাতাবিকুসুমে কানন ভরিয়া আছে
বিপুলা বিস্তৃত মাঠ ভরা কোমল দুর্বা ঘাসে।
মন্থরপদে সন্ধ্যা নামছে যমুনার তীরে
দিন শেষে মাঝি সকল ফিরছে নীড়ে।
শীতের প্রভাত ঘাসের ডগার উপর শিশির মাখা
গুধূলি সন্ধা সাজাই প্রজাপতির পাখা।
দূর দিগন্তে হলদে সরষে ভরা
অন্তর ভরি ফুটে’ উঠে তারা।
নব-ফুটন্ত লেবুর গন্ধে আসিল তন্দ্রাঘোর
চাতক পাখির কন্ঠে শুনাই ঘুমপাড়ানি গানের সুর।
ক্ষুদ্র সেফালি,মধুর-সৌরভ
বাংলা মোদের গৌরব।
দখিন হাওয়া---রঙিন হাওয়া জাগাই নব প্রান
শুনি গাং-চিলেদের পক্ষধ্বনির শন শনানির গান।
এসব দৃশ্য সত্য মিথ্যা নহে
ক্ষুধার অন্ন যোগায় কর্মে।
দুর্ভাবনায় শান্তি আনে নিত্য আসা যাওয়া
পুষ্পে-তৃণে বাসটি ছাওয়া।
তৃপ্তি তাঁরি শস্যে-জলে মিটে পিপাসা
ব্যর্থ মোরা নই কভু নয় কো হতাশা।
স্বর্ণ বল, রৌপ্য বল হিরা বল সাথে
এসব তো তুচ্ছ সবি বাংলার সৌন্দর্যের কাছে।
বিশ্ব জুড়ি' সৃষ্টি মোদের দুর্বার জয় ধারা
বাচতে দিচ্ছে নতুন জীবন মুছে অশ্রু ধারা।
পথের ধারে নিমের গাছে হলদে পাখি বসে
অফুরন্ত অশ্রুধারা তবু মুসকি হাসে।
দিচ্ছে ভুবণ আলো ছড়ি খুলছে আধার দ্বার
সঙ্গি দিচ্ছে মনের মতো শুণ্য গৃহ যার।
নিখিল ব্যাপি চাহিয়া থেকে জুড়াই দু আখি
প্রাণ খুলে বসে যমুনার তীরে বাংলার দৃশ্য আঁকি।