কেননের চোখে জল জল - অস্পষ্টটায় ছবি আসেনা সচ্চল।
মেঘ জড়ানো পাহাড়ের বুকে মগ্ন একজন।
নিষ্প্রাণ গাছের দেহ পরে আছে শুকনো জলে ।
ওদিকে আলোয় শহর প্রদীপ্ত নিযুত আঁকশি যষ্টিতে।
ভাঙা মানবী পরী মূর্তিটি অক্ষম ও অক্ষত বিশাদ আক্ষেপে।
অভাগির মাথা নিরহঙ্কার অবনমিত তাই ।
দুটি পাখ গজিয়েছে পিঠে - তাই দুষ কি আমার।
উড়তে পারে না যে, স্রুত ভাসিয়ে নিয়ে যায় বহু দূর তাকে।
শিশির জড়ানো পাতার ফাঁকেফাঁকে লক্ষিত দূরের জলপ্রপাত।
তুষার মরুতে সামনে এগিয়ে যাওয়ায় আসস্থ হরিণ এর দল।
হাওয়ার গতির জড়তায় সাদা গোলাপেরা স্থির, বসন্তে নাচে ইংরেজ মেয়েটি ।
লাম্পে আলো নেই, সূর্যমুখীর মুখ শুখনো, দূরে ঐ আজকের বাকা চাঁদ।
তা দেখে বসে থাকা সিংহের মন অনুধাবিত ।
সময় হলো তুষারকালের, বেঞ্চিটা ডেকে যাচ্ছে।
মেপলের পাতায় ছোট পুকুরপাড় আবরিত,
নাক ডুবিয়ে তৃষ্ণা মেটায় কালো কাক।
গাঙচিলের চোখ ফাকি দিয়ে ডুবে যায় পরের শেষ সূর্যটা।
কালো আকাশের সাদা চাঁদ পূর্ন হলো শেষে।
সন্ধের খাল মেতেছে উৎসবে হাঁসদের ভিড়ে।
নেকড়েরা মুখ তুলে আকাশ পানে, অস্তিত্বের পার্থনায় অবাক মঘ্নে ।
বিড়ালের খামখেয়ালিপনায় টেবিলের বই পরে যায় নিচে-- শব্দে ভাঙে আমার ঘুম!
--রিজভী নাভিন