ছোট্ট শিশু ধর্ষিত হয় সমাজের অন্ধকারে
তাকে সমাজ বলে ওঠে ওই শিশুটি আহারে!
ছোট্ট শিশু বুঝতেই পারে না তার সাথে কি হয়েছে,
আসলে যে শিক্ষক রুপি কিছু অসুর তার শৈশব ছিনিয়ে নিয়েছে।
মা বাবা দুঃখ পেয়ে বলে নেব এর বদলা,
পুলিশএর কাছে গিয়ে বলে সব ঘটনা ভুলে সব যন্ত্রনা।
থানা থেকে যে পুলিশ কাকু পাঠালো হাসপাতালে,
প্রমান করতে সেখানেই তার শারীরিক পরীক্ষা হবে।
আবার তাকে উলঙ্গ করে পরীক্ষা করান হলো,
শিশুটি মা কে বলে আমি আবার ধর্ষিত হলাম তাই না বলো?
ততক্ষনে রঙ্গমঞ্চ শুরু হোয়েছে শিশুটিকে নিয়ে,
টিভি কাকুরা জিজ্ঞেশ করছে ঠিক কি হয়েছিল রে?
মেয়ের ধর্ষণ কিভাবে হয়েছে এটি বলা বাবার কাছে খুব লজ্জার,
কিন্তু কি করা যাবে তাকে তো পেতে হবে বিচার।
দিন গড়িয়েছে ততক্ষনে ঘুষ নেওয়া স্কুলে পড়েছে বিক্ষোভের রেশ,
প্রিন্সিপাল ম্যাডাম মিডিয়ার সামনে বলে গেল মিথ্যেকথা বেশ।
ছোট্ট শিশুটি করছে নাকি নাটক কিছুই নাকি হয়নি,
বলি ম্যাডাম আপনিও নিশ্চই কোনো শিশুর মা তো নাকি?
পুলিশ তখন গ্রেপ্তার করেনি পিশাচ গুলোকে
কারণ টা শুনবেন?কারণ,তাদের কাছে তখনও পৌঁছায়নি মেডিক্যাল রিপোর্ট যে।
এখানেই থেমে যায়নি শুরু হয়েছিল শিশুটিকে নিয়ে রাজনীতি,
তারাই বলছে আমরা আছি তুমি বিচার পাবে ঠিকই।
সত্যি করছি আজব দেশে আমরা বসবাস
যেখানে শিশুর শরীর ভক্ষণ করে শিক্ষকদের মেটে আশ।।
যতই করিনা আমরা শিশু দিবস পালন
আসলে তো আমাদের কেই জেগে ঠিক করতে হবে কুলাঙ্গার গুলোর আচরণ।
শুধু শিশুটির শরীর হয়েছে ধর্ষিত
আসলে তো তার মন শৈশব হয়েছে ক্ষতবিক্ষত।