পুরোনো ছাইদানিতে জমে থাকা কিছু স্মৃতি
আর যথারীতি-
জানালার পাশে একা পড়ে থাকা মন;
উদাসী হাওয়ার পথে চোখ রেখে বসেছিলাম, হঠাৎ জানিনা কখন
তুমি এসেছ গুটি গুটি পায়ে
স্নানের গন্ধ তখনও লেগে ছিল তোমার গায়ে।
ভেজা চুলে শ্রাবণ ধারার মতো জড়িয়ে থাকা জল-
জানিনা কী কারণে উন্মত্ত, জানিনা কোন স্নিগ্ধতায় টলমল!
পায়ের পাতায় তখনো লাল আলতার আলতো ছোপ ধরা
কোথাও একটা মাদকতা; মন কেমন করা-
গন্ধ সর্বক্ষণ ছড়িয়ে রয়েছে আনাচে কানাচে, ঘরের প্রতিটি কোণায়।
শেষবিকেলের দমকা হাওয়া না জানি কি গল্প শোনায়!
নিস্তব্ধতা বড় ছোঁয়াচে রোগ; তোমায় একটু কাছে চাওয়ায়
লাল ওড়নার সুদূর প্রান্ত উড়তে থাকে হাওয়ায়।
আকাশ জুড়ে তোমার চোখের কাজলের মত মেঘ
ঘরের মধ্যে ঘনীভূত হয় আবেগের গতিবেগ।
বৃষ্টি হবেনা জানি- তবু একটু খানি হলে ভালো হয়।
উড়ে আসে মেঘ, অযথা সময়।
পশ্চিমের জানালায় পড়ন্ত রোদ আর উড়ন্ত পাখির দল
অপরাহ্নের সেই আলো নিভে আসে অবিকল
আগের মতোই; ফুলগন্ধ, ঘুমগন্ধ প্রেমের আবেশ ছড়ায়
তখন তোমার স্নিগ্ধ আঙুল আমার আঙুল জড়ায়।
ভারী হয়ে আসা আকাশে বাতাসে মন কেমনের রেশ
নীরব সাঁঝে ঘরের মাঝে নেমে আসে মহাদেশ।