দিন গেছে আকাশের চাঁদ খুঁজে,
রাত্রি গেছে ব্যস্ত গলির কোণে
কখনও তোমার বুকে মুখ গুঁজে-
স্পন্দনখানি শুনেছি আপন মনে।

আলোয় ভেসেছে স্বপ্নের জলছবি
বায়ুহীনতায় সবাই জড়, স্থির;
নীল আকাশে মেঘের প্রতিচ্ছবি
স্মৃতির জল মেপেছে অগভীর।

হঠাৎ কেন যে সেদিন হলো দেখা
বললে, "আমায় কি কিছু বলছেন?"
পাখির নীড়ের মতো চোখ নিয়ে
দাঁড়িয়ে আছে অন্য বনলতা সেন।

শহরের ধূসর ঐতিহ্যের জগতে
সহসা কখনো সাদা ফুলও আসে উড়ে
সেই স্নিগ্ধতা আমাদের কারো নয়,
সে ফুল উড়ুক তোমার আকাশ জুড়ে।

পৃথিবীর সুখ সবার জন্যে বটেই
তবুও তুমি সব ছেড়ে কারো স্বার্থে
চিনিয়ে দিলে মুখোশ ঢাকা মুখ
হারিয়ে যাওয়া জীবনের পরমার্থে।

তোমার ঐ চোখের পানে চেয়ে-
শুধাই, "এতদিন কোথায় ছিলেন?"
জানিনা কখন মিশে গেছ দুইজন
তুমি আর সেই বনলতা সেন।

সারাটাদিন কেটে গেছে ক্রমে ক্রমে
মুছে গিয়েছে চেনা গন্ধের ছাপ-
টেবিলের উপর দুরাশার কাপ-প্লেট
অ্যাশ্-ট্রেতে জমা দিনগত পাপ।

মিলিয়ে গেছে সেই দুরাশার চিহ্ন-
ধূসর পৃথিবী আবার হয়েছে কালো,
সন্ধ্যা নেমেছে; শিশিরের পদচিহ্ন-
রাত্রে আবার তারাদের সেই আলো।

রাত্রি নামে কালো চাদরে মোড়া-
বিছানার পাশে ঢেকে রাখা শ্যাম্পেন,
পড়ে থাকি শুধু তুমি, আমি আর-
তোমার মতো হাজার বনলতা সেন।



(জীবনানন্দ দাশ- কে উত্সর্গ করলাম)