এই যে ছেলে, ঢের খেলেছিস; পড়তে বোস এখুনি-
ঘুঘু দেখেছিস এতদিন ধরে, ফাঁদ তো চাঁদু দেখনি!
কী বললি তুই? জ্বর হয়েছে...দেখেছিস বেতখানা?
ঘোল খাওয়াবি? তোকেও তবে খাওয়াব বেলপানা!
মিচকে পাজি দামড়া ছেলে... মাথায় গোবর পোড়া
গোবর পুড়লে ঘুঁটে হয়!!... তবে রে হতচ্ছাড়া!!
এইদিকে আয়, এইখানে বোস; বের কর খাতাগুলো
কিসের খাতা? হাসছে দেখো! দাঁত তো নয়, মুলো।
আগের দিন যে অঙ্ক দিলাম তার কতগুলো বাকী?
সব করেছিস?... বাহ! ভালো, শুধরে গেলি নাকি!
বের কর তবে সেই খাতাটা, কী করেছিস দেখি-
খাতার পিছনে ওটা কার ছবি! এ তো আমি, একী!
প্যাঁচার মতো চোখ আমার? গাজরের মতো নাক!!
মাথার উপর ঠ্যাং দুটো তুলে হাম্বা বলে ডাক।
ইউনিটারি মেথড এটা?... কী লিখেছিস দ্যাখ-
তিন আর ছয়ে আঠারোর আট, হাতে রইল এক।
এই এক-টা বসবে কোথায়? ঐখানে! তোর মাথা!
সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে আপনার জয়গাথা!
মাথায় ক'আউন্স গোবর আছে? সেদ্ধ, নাকি পোড়া?
মুখে মুখে তক্কো করে; বদমাশ পাজি ছোঁড়া-
কি বললি তুই? বেশ করেছিস! আবার দেখি বল!
আবার বললি!! অনেক হয়েছে; বাবার কাছে চল-
যাবিনা মানে! তোর বাবাও যাবে; পাজির পা ঝাড়া
নির্লজ্জটা আবারও হাসে!!.... তবে রে হতচ্ছাড়া-
অ্যালজেব্রার 'অ্যা' জানিস না, পাটিগণিতের 'পাটি'!
ইচ্ছে করে কানদুটো তোর কাটারি দিয়ে কাটি...
কোথায় জাচ্ছিস? পড়বিনা মানে? দেখেছিস বেতখানা?
ঘোল খাওয়াবি? তোকেও তবে খাওয়াব বেলপানা!




(সুকুমার রায় কে উত্সর্গ করলাম)