বালির শহর ফিরছে ঘরে ঘরে
জনস্রোতে ভাসছে হাইড্রেন,
ছুটছে বাস ট্যাক্সি প্রাইভেট
লেভেল ক্রসিং; দাঁড়িয়ে আছে ট্রেন।
পাতাল রেলে গড়িয়া টু দমদম
চিহ্ন ফেলে ব্যস্ত পায়ের ছাপ,
ট্রাফিক মানে হরদম রংরুট
পিছে পড়ে থাকে দিনগত পাপ।
ঝালমুড়ি আর ফুচকাওয়ালার স্টলে
ব্যাঙ্গমা আর ব্যাঙ্গমীদের ভিড়,
ধুলো ওড়ায় বেপরোয়া বাইক
লেকের জল চঞ্চল, অস্থির।
গগনচুম্বী অট্টালিকা গুলোয়-
আলোকসজ্জা; শহরের কোণে কোণে
কেনাকাটায় হাত পাকায় আর
জট পাকায় ব্যস্ত টেলিফোনে।
লাল-সবুজ-হলুদ সিগনালও
উইন্ডসক্রিনে আছড়ে পড়ে আর
চেনা অচেনা আধচেনা মুখগুলো
দেখা দিয়েও হারিয়েছে বারবার।
অলিতে গলিতে বিষন্ন আর্তনাদ
চাপা পড়ে যায় ব্যস্ত বালির তলে,
মুখের উপর সুখের মুখোশ টেনে
শহর তখন মিথ্যে কথা বলে।
থাকুক শত মিথ্যে ঘেন্না পাপ-
আমার শহর তবু আমারই থাকে,
রাত্রি নামে নিশাচরের ঠোঁটে
রাজপথ আর প্রতিটি গলির বাঁকে।
বালির শহর ফিরেছে নিজের ঘরে;
রাস্তার আলো জ্বলছে ভুতের মতো,
হঠাৎ একটা দমকা হাওয়া এসে
উড়িয়ে দিল বিষাদমাখা ক্ষত।
সারাটাদিন শুনিয়েছ ইতিহাস;
তিলোত্তমার দুচোখে ব্যকুলতা,
সুখের হিসেব নিয়েছ ভাগ করে,
কে নেবে এই বিষাক্ত শূন্যতা?