চৈত্র অবসানে
আকাশে বাতাসে ভাসে নূতনের সুর; গানে গানে-
বেজে ওঠে বৈশাখের শাঁখ,
তোমার জীবনের স্বপ্নগুলো আরো একবার পূর্ণতা পাক।
"আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি"
তাই, জীবনের মেঠো আঁকা বাঁকা পথ ধরে
তোমার কাছেই বারবার ফিরে আসি।
এখানে নীলাকাশে ভাসমান অচেনা মেঘেদের সমুদ্রে, অথবা
বসন্তের উড়ন্ত কোকিলের কুহু ডাকে-
জানি, তোমার আগমনের বার্তা লুকিয়ে থাকে।
আর, কৃষ্ণচূড়ার ঝরা পাতা জানিয়ে যায় রাতারাতি
"আমরা বাঙ্গালী জাতি"।

চৈত্র অবসানে
চলো না আমরা খুঁজি জীবনের অন্য কোনো মানে;
"বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ
খুঁজিতে যাই না আর..."
তাই, কৃষ্ণা দ্বাদশীর জ্যোৎস্নায় ধানক্ষেতের আল ধরে
তোমার কাছেই ফিরে আসি প্রতিবার।
"...হয়তো মানুষ নয়- হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে ..."
শুকনো পাতায় শুনেছি পদধ্বনী,
নতুন পৃথিবীর বুকে তুমি কি কান পাতনি?


চৈত্র অবসানে
"হেথা নয়, হেথা নয়, অন্য কোথাও অন্য কোনোখানে ..."
উড়ে যাব বিহঙ্গের মত ডানা মেলে
মুক্ত ভাবনার হাওয়ায় ভর করে অবহেলে।
বেজে ওঠে মহাকালের ডাক
তোমার সুপ্ত চেতনা গুলো মুক্তির পথ খুঁজে পাক।
গঙ্গার জোয়ারে এসে লাগে পদ্মার তীরের স্পর্শ
কবিতাতে তাই তোমায় জানাই শুভ নববর্ষ!!




(কবিতাতে ব্যবহৃত লাইনগুলিঃ
"আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি" এবং "হেথা নয়, হেথা নয়, অন্য কোথাও অন্য কোনোখানে ..."- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

"বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ
খুঁজিতে যাই না আর..." এবং "...হয়তো মানুষ নয়- হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে ..."- কবি জীবনানন্দ দাশ।
"আমরা বাঙ্গালী জাতি"- চন্দ্রিল ভট্টাচার্য, চন্দ্রবিন্দু।)