যে কালো কালো ছায়াগুলো প্রতিবছর রাস্তার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত
হাঁক দিয়ে মিছিল করতে করতে যায়
আমরা তাদের মুখও চিনিনা; আমরা শুধু
পতাকার রং দেখতে দেখতে ভোট দিতে যাই,
আর বারুদের গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে ঘরে ফিরে আসি।
সারাটাবছর অফিসের পুরোনো টেবিল চাপড়ে ম্যানিফেষ্টো আওড়াই,
সপ্তাহান্তে ক্লাবের স্যাঁতস্যাঁতে ঘরে তাসের আড্ডায়
গোল হয়ে বসে
ডাস ক্যাপিটাল দিয়ে মুখ কুলকুচি করি, আর
খবরের কাগজ ঘেঁটে আহত নিহত নিখোঁজের সংখ্যাগুলো
হিসেবের খাতায় অবিকল লিখে রাখি প্রতিবার।
আমাদের দাস্যসুখেই হাস্যমুখ!
ধমনীতে রক্তের বদলে পেট্রল চলে; দুর্নীতিবাদের অসুখ
প্রতিদিন আমাদের নিয়ে যায় সভ্যতার বধ্যভূমিতে।
বিপ্লব চাই না, দরজা এঁটে আমি এখন শান্তিতে একটু ঘুমোব!
শ্লোগান চাই না, টিভিটা আরো জোরে চালিয়ে দিই!
ঘরের মধ্যেই তৈরী করেছি নিজস্ব একটা পৃথিবী!
চোখ আছে, তবু দেখতে চাইনা।
কান আছে, তবু শুনতে চাইনা।
এ পৃথিবীর কিচ্ছু চাইনা, নিজের মতো থাকতে চাই।
নীতিবাক্যের কাগজে মোড়া স্তাবকতার মান ধারী
নিজের শর্তে দুচোখ বেঁধেছি,
আমরা সবাই গান্ধারী!