রাত-দুপুরে ট্রিং-ট্রিং-ট্রিং-ট্রিং
অতল ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায় রিং,
অন্ধকারে জেগে উঠি ঘুমঘোরে।
এখন কে?এই অসময়?
ঘরের মধ্যে জমাট বাধে ভয়,
খাটের উপর বসে থাকি চুপ করে।
নিরবতা ভাঙে ঘরের ও কোণ,
ক্রেডলে কাঁপছে কালো টেলিফোন-
লাল আলোটা নিভছে আর জ্বলছে।
বুকের মধ্যে ধড়াস ধড়াস মন,
ঘড়ির কাঁটাও বন্ধ এতক্ষণ-
কানে কানে কেউ কিছু কথা যেন বলছে।
চারিদিকে আজ ধর্মের মহামারী,
দাঙ্গা খেলায় পুড়ছে অনেক বাড়ি
প্রতিদিনই আসে মৃত্যুর সংবাদ।
কেউ বা গলায় পড়ছে দড়ির ফাঁস,
নদীর জলে ভাসছে কারও লাশ,
কারও বা লাইনে ধড় থেকে মাথা বাদ।
অন্ধকারে হারিয়ে গেছে চোখ
চারিদিকে শুধু হিংস্র বাঘের নখ
সুযোগ পেলেই বসিয়ে দেবে থাবা।
দেশের মধ্যে অদ্ভুত রাজকতা-
ঘরের মাঝেও নিশ্চুপ নীরবতা
মিটিয়ে দেবে সব কিছু চাওয়া পাওয়া।
জানিনা কার আঁধারে ডুবেছে আলো,
জানিনা কার চোখের কোণে কালো,
জানিনা সে কোন আপনজন!
ধরতে এসেও ব্যর্থ প্রতিবার
রাতের আঁধার বাড়তে থাকে আর-
বাজতে থাকে ব্যস্ত টেলিফোন।
রচনাকালঃ১৫/১১/০৯