পূর্বের ঘাটে গঙ্গার হাওয়া আসে আর চলে যায়-
পথ ভুল করা ঢেউ গুলো সব দুরে দুরে সরে যায়।
এধারে ওধারে ধীরে চুপিসারে জমা হয়ে আসে ভীড়,
ভাসমান কিছু অসমান ছায়া জলে পড়ে থাকে স্থির।
ঠোঁটে নিয়ে ঢিল কিছু গাঙ্-চিল বালুচরে করে খেলা-
সারাদিন পর দুপুর গড়িয়ে তখন বিকেলবেলা।
মাছ্-ধরা জালে,নৌকোর পালে লাগে ভাঁটার টান;
শহরের গলি,রাজপথে বাজে ঘরে ফেরার গান।
গঙ্গার সেই ক্লান্ত হাওয়ায় মন কেমন করে-
হঠাৎ করে জলের উপর জোৎস্ন্যা এসে পড়ে।
জোছনার আলো,ভিন্-দেশী তারা,ক্ষীন হয়ে যায় রাত-
পড়ে থাকে ছাপ;আকাশের গায়ে মেঘ করে যাতায়াত।
চার্চের সেই বড় ঘড়ি-টায় দশটার সাইরেন-
খুব চুপিসারে ইস্টিশন ছাড়ে রাতের লোকাল ট্রেন...
শহর যখন মুখোশ খুলে রাতের কড়া নাড়ে-
একলা আমি দাড়িয়ে থাকি জমাট অন্ধকারে।