এখানে ঊনপঞ্চাশ নিয়ে ভাবনার খেলা চলে।
অথচ যাদের একফোঁটা রক্তের ঋণ
কোনোমতেই শুধতে পারিনি আজও
তাঁরা ঊনপঞ্চাশের এই দিনে তাকিয়ে থাকে
উৎসুক জনস্রোতের দিকে।
একটু কাছে থেকে কি মাখামাখির সুযোগ নাই?
আমার সতীর্থ, আমার ইয়ারের সাথে।
একটু কি কথা হবেনা, এই ঊনপঞ্চাশে এসে?
ঘুমহীন রাতে অতন্ত্র প্রহরীর সঙ্গী হয়ে,
তোরাই তো ছিলি সেদিন।
তবে আজ দূরে কেন তোরা?
নিষ্পলক উৎসুক চোখে ভাবতে থাকে তাঁরা।
অবাক হয়োনা তোমরা
উনারা আজ ঊনপঞ্চাশ রকম বিষফোঁড়ায় আক্রান্ত।
ঊনপঞ্চাশ লাখের হাঁকানো গাড়ির নিচে পড়ে পিষ্ট সতীর্থরা
আজ তোমাদের জন্য ভালোবাসা নিয়ে আসতে পারলোনা।
ঊনপঞ্চাশ গজ দূর থেকেই নাও এই অবিরাম ভালোবাসা।
মনের মাত্র ঊনপঞ্চাশ ন্যানো সেমি দূরের সেই ভালোবাসা
আজ বাধ্য হয়েই দাঁড়িয়ে আছে ঊনপঞ্চাশ ক্রোশ দূরে।
সত্যিই বাধ্য হয়ে, আবার যেন মনে করোনা ঘৃণায়।
তাহলে কি স্বাধীন হয়নি আমার দেশ?
হুম.... হয়েছে।
তবে প্রতিটি মনের কোণে
ঊনপঞ্চাশ ফুট উচ্চতায় গেঁথে গেছে বিভেদের দেয়াল।
তোমাদের অবদান আজ স্বীকারের বিষয়মাত্র নেই,
একটা "কিন্তু" জুড়ে দিয়ে হচ্ছে বিভেদের চাষাবাদ।
আজ অমুক তমুক ভাইয়ের অনুগ্রহ ছাড়া
প্রতিদানের ইচ্ছাটুকুও করে না এরা।
আজ দিনে দিনে ঘুমিয়ে পরছে তারা-
যারা সেইদিনের আলো এইদিনে আনবে
বলে ভেবেছিলে তোমরা।
তবে ঊনপঞ্চাশে আমায় কি দিলে প্রতিদান??
তুমি ফিরে যাও, ঘুমিয়ে পড়ো আর চেয়ে থাক
আগামীর পানে, তারুন্যের পথচলায়।।
বিঃদ্র- কবিতাটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঊনপঞ্চাশতম বার্ষিকীতে লেখা।