শেষবেলা মৌনতায় ডুবে গিয়েছিলো ভাবনার বাড়াবাড়ি
সম্মুখের ঘুড়ি উড়ানোয় বিভোর ছেলেটাও হয়ে গেল দুশমন।
জবাবের পর জবাব ঘুরপাক খেতে খেতে
মনের দেয়ালগুলো সব প্রত্নতাত্ত্বিক রূপ পাওয়ার যোগাড়,
তবু আজও জবাবের আগে প্রশ্ন আসলোনা।
কাঁটাতারের অপরপ্রান্তের অজানা দুনিয়ার
রহস্যময়তার বর্তমান জানার, ইচ্ছার গুড়ে
বালি ফেলে দিলো এক বন্ধ দুয়ার।
বাসি ফুলগুলো তোমার আদর পেতে
এক পা উঠে আর দু-পা নেমে দ্বিধাদ্বন্দিত মনে।
দরজার পাশে পৌঁছে হতাশায় নিমজ্জিত হতে হতেই
মনের বিউগলে বেজে উঠে বিগত হয়ে যাওয়া পরিচিত সুর
সেই মনের দুয়ার বন্ধ ছিলো।
শত শত প্রেমিক যুগলের আহ্লাদে ভরা ছবির হ্যাশট্যাগ দেখে দেখে
আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা মরিচিকার জনমের বন্ধু
কিছু সময়ের জন্য ভুলেই গিয়েছিলো যে
ওই মনের দুয়ার বন্ধ ছিলো।
অপুর মত ঝঞ্ঝাট হয়ে বাঁচতে চাইনি বলে
শেষ বারের মত কড়া নাড়ার সময়-
গণহত্যার শিকার গলিত লাশের পাশে,
উড্ডীয়মান শকুনের মতো
দুর্বিষহ যন্ত্রণা দিয়ে বলে গিয়েছিলো অনেক কথা।
অভাবের তাড়নায় ফুলের যোগাড় যন্ত্র করে
সামনে আসাই ছিল যার কাছে অভাবনীয়,
সে তো উত্তর চাওয়ার আগেই বুঝে নিয়েছে
তোমার মনের দুয়ার বন্ধ ছিলো।