এমন একটা সময় ছিলো-
যখন আকাশের তারাগুলো আমার অধিকারে ছিলো।
সেসময়-
প্রতিরাতে ভরা জ্যোৎস্না আমার ঘুমের সঙ্গী হত,
ভোর হলেই ডেকে দিতো সুরলোকের শুভ্র ডানার পায়রাগুলো।
আর-
ব্রহ্মাণ্ডের সুবাসিত সমাজের অনুকরণীয় পদ্মগুচ্ছের রানি
যে কিনা-
সুবাসের অবিশ্বাস্য কম্পোজিশনে সুনিপুনতার দাবিদার
পদ্মবিলের একচ্ছত্র কর্তী,মোহনীয় রূপের উদাহৃত,
অপরূপ সেই পদ্মগুচ্ছের স্বত্বাধিকারীর ব্যাখ্যাহীন আদেশে
ভোরের সুশীতল বাতাসটা আমাকে অভিবাদন জানাতো।
এমন একটা সময় ছিলো-
যেসময় আমার মাঝরাতে ঘুম ভাঙার ভয় ছিলো না।
দুঃস্বপ্নের খেলার পাত্র হয়ে উর্দ্ধ আকাশে উড়তে উড়তে
ছিটকে যাওয়া উল্কাপিন্ডের মত পড়ার ভয় ছিলো না।
আকাশে হঠাৎ বজ্রের আওয়াজেও ভাঙার দরকার হতো না
তিলে তিলে গড়ে তোলা স্বপ্নগুলো।
এমন একটা সময় এলো-
যখন মন ভাঙার ক্লান্তির অজুহাতে
স্বপ্নের গোলক ধাঁধায় পরে, গভীর মগ্নতায়,
নিশি ভোরের আগে জ্যোৎস্না ছাড়াই আমি ঘুমিয়ে পড়ি
ক্ষতবিক্ষত দেহটাতে একটু শান্তি ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে।
এমন একটা সময় এলো-
যখন ছিটকে যাওয়া উল্কাপিণ্ডের রেপ্লিকা হয়ে
তোমার মন ভাঙা ঘুম দেখে চমকে উঠতে আর সাহসে কুলায় না।
তোমার সেই মন ভাঙা ঘুম...
যে ঘুম তুমি সেদিন দিয়েছিলে মনের অন্তরালে গিয়ে
দুঃস্বপ্নের নতুন মেরুকরণের অশুভ উদ্দেশ্যে।