লাবণ্যলতা! শেষ কবে তুমি দেখেছিলে শিশিরমাখা ভোর
শেষ কবে তোমার পরশের মুগ্ধতায় নুয়েছিলো পল্লবী চাদর,
ধূসর পৃথিবী শেষ কবে ধুন তুলেছিলো বাঁশরীর মাতাল সাহচর্যে?
শেষ কবে তোমার কণ্ঠে তুমি গেঁথেছিলে ভালোবাসার স্লোগান
দূর্বার মিছিলে সখীরা মাতম তুলেছিলো শহর থেকে বন্দর
বন্দর থেকে মফস্বলে ছড়িয়েছিলো পবিত্র বাঁধনের আহবান।
শেষ কবে প্রিয়র সাহচর্যে রুক্ষ ধরণীতে গড়েছিলে স্বর্গসুখ?
ভোর বয়ে আনা পাখিদের তুমি সঙ্গ দিয়েছিলে শেষ কোন কালে
দমবন্ধ সাহসে শেষ কবে তুমি ডুবেছিলে লালদিঘীর অতলে?
তার অবর্তমান মুগ্ধতাকে উৎসর্গ করা ঘুমন্ত গোলাপেরা
শেষ কবে প্রফুল্লতায় মেতেছিলো উৎসবের নগরে?
জলছায়া চিঠি পড়ে শেষ কবে এঁকেছিলে স্মৃতিতে আঁচর
শেষ কবে তোমার ভালোবাসায় ভরেছিলো লাবণ্যবতী ভোর?