রংমহলের অন্দরে অধিষ্ঠানের অভিষ্টে তোমার মধ্যস্ততায়

অবেলার আনাড়ি খেয়ালে আজীবন অনুমতি দেওয়া নেওয়া নিয়ে

তোমার হটকারিতার প্রায়শ্চিত্তের ভার পড়েছে আমার উপর।

কাল তো তারাদের নিয়ে আমি আটকিয়েছিলাম মেঘের কোলাহল,

আকাশের অসীমতায় লুকিয়ে ছিলো অগণিত সুখের হাতছানি,

ঘর ছাড়ার অনভ্যাসে কুড়িয়ে নেওয়া হয়নি সেগুলো কখনো।

তাই তো মুছে যাওয়া হাতের রেখায় পথভ্রষ্ঠ বসে থাকি এবেলায়।

তোমার নূপুরের অমৃত লহরিতে আজ আমার মনের আস্তানায়

আষাঢ় আর শ্রাবণ মত্ত হয়ে উঠেছে চৈতালি মেলার অশ্বের মত।

তোমার নিক্বণের নিখুঁত অনুকরণের প্রচেষ্টায় আজ

মনের গহীনে চলে আনাড়ি পায়ের তাধিন তানা তান।

যদি আফসোসের জিপার ব্যাগে বন্দী হতো কলংকময় সময়?

কী হতো যদি অবলীলায় পুড়ে খাক হতো দুজনার মনের আসবাব।

কাল যে পথভোলা নাবিকের নির্দেশে গুটিয়ে নিয়েছিলাম দুজনে

কালো মেঘের নূপুরে তো তোলা যেত সে কলংক ভাঙার পাল।