অস্থির আকাশের আহ্বানে চলতে থাকা শহরকে
আলগোছে গুটিয়ে নেয় তারা।।
পূর্বসূরির হুঙ্কারকে পুঁজি করে থমকে দেয় পথিককে।।
আবার) পথ হারানোর ভয়ে অচেতন মনে....
নিজেই নিজেকে গুটিয়ে নেয় অবেলার পথিক,
চিরচেনা কদমগাছের নিচে।।
আলগোছে।। সাবধানে।।
অস্পৃশ্য ভুতুরে গাছের নিচে, সাবধানে।।
যেখানে থমকে থাকার কোন মানেই ছিলোনা
অলসতায় দেহ এলিয়ে.....
থমকে থেকে মনে করার চিন্তা এতটুকুও হয়নি
নিষ্ঠুর প্রেয়সীর মুখচ্ছবি।।
প্রবোধের চেষ্টাও বৃথা হবে.....
হেসে উঠবে অবহেলিত মলিন মুখের টোকাই দুটিও।।
অজস্র আবেগের ডায়েরি হয়ে আজো যারা ঘুরেফিরে
সদর থানার আশেপাশে।।
দুইএকটা কাগজ, ভাঙা বদনা, কয়েলের স্ট্যান্ড
আর হারপিকের বোতল যাদের জীবিকা....
তারাও হেসে উঠবে পথিকের দেখা পেয়ে।।
মলিন মুখেও হাসি বদলে দেখা দিতে পারে
বিদ্রুপের রেখা, যা তার প্রাপ্য।।
আসলে তার তা প্রাপ্যই নয়,
কোনো হিসাবেই নয়।।
কেন হে পথিক আবার হেথায় তুমি??
কবেই তো শেষ করেছ লেনদেন।।
কি পাও তুমি হে, দুটাকার কদম ফুলে.......
বোকা তুমি। ট্যাপার টোকানো হারপিকের বোতলের সমানও দাম নেই তোমার সস্তা আবেগের।
কথা শুনেই হেসে দেয় হতচ্ছাড়া ট্যাপা....
বজ্রপাতে মিলেইনা ট্যাপার টিটকারি।।
পথিকের শেষদিকের শত অনুরোধ......
তাতেও বাধ সাধে মেঘমল্লার দূত।।।
(পুনচ: বজ্রকেই আঘাতের সরূপ মেনে বেলাশেষের বিদ্রুপকে প্রতিহত করার ক্ষমতা অর্জনই একমাত্র সাধনা হয়ে উঠে পথিকের।)