কবিতায় ছন্দ আমরা সবাই জানি। স্বরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত ও অক্ষরবৃত্ত। আমার লেখার বেশির ভাগই স্বরবৃত্তে হয়। চেষ্টাও করি লেখার। যাতে স্বরবৃত্তটা আয়ত্তে আসে সহজে। স্বরবৃত্তে আমরা সবসময়ই খেয়াল করি মাত্রা সংখ্যা (৪ মাত্রায় প্রতিপর্ব) ঠিক আছে কিনা! তবে লেখায় একটা জিনিস সবসময়ই ঘাটতি থেকে যায়। সেটা হলো শ্বাসাঘাত বা প্রম্বর!
শ্বাসাঘাত বা প্রম্বর হলো প্রতি পর্বের প্রথম অক্ষরকে একটু জোর দিয়ে পড়া। একটা উদাহরণ দেই বুঝতে সুবিধা হবেঃ
"রায় বেশে নাচ ∣ নাচের ঝোঁকে ∣ মাথায় মারলে ∣ গাঁট্টা ∣∣ (৪+৪+৪+২)
শ্বশুর কাঁদে ∣ মেয়ের শোকে ∣ বর হেসে কয় ∣ ঠাট্টা ∣∣"(৪+৪+৪+২) (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
কবিতার প্রথম চরণে, "রায়" এর রা, এমনি ভাবে "নাচের" এ না, মা, গাঁ অক্ষর গুলো একটু জোর দিয়ে পড়লে কবিতার স্বাদটা ভালোভাবে পাওয়া যায়।
দ্বিতীয় টিতে, "শ্ব, মে, বর, ঠা " জোর দিতে হবে।
এবার দেখি আজকে আমার কবিতায় কি কি ভুল আছে!
"অন্ধ জনে জেনে শুনে
দিচ্ছো তুমি ধোঁকা,
চালের ভেতর মেশাও কাঁকড়
বেগুন ভরা পোকা!
রাত্রি বেলা প্রদীপ জ্বালো
দেখাও দিনের আলো,
পথের মাঝে আঁধার ঢেলে
পথটা ভূলাও ভালো।"
আমার ধারনা প্রথম স্তবকে "অন্ধ জনে" শ্বাসাঘাত হলেও "জেনে শুনে" এতে হয়নি। পরের স্তবকেও ফেল। বিশেষ করে "দেখাও দিনের আলো"। এখানে শ্বাসাঘাত পরে না! আমার বুঝায় এতোটুকুই আসে। তবে সম্মানিত কবিদের কেউ যদি আরেকটু ভুল ধরে শিখিয়ে দেন খুশিই হবো।