আমার ছেলের লাশ দেখোনি?
দেখোনি তাঁর বুলেট বিদ্ধ ক্ষত-বিক্ষত শরীর?
বাক বক্ততৃায় তোমার বোধহয় পায় না তৃষ্ণা!
ভেজায়নি চোখ পঁচিশ বছরের মুগ্ধ?
তুমি, আকন্ঠই ডুবে থাকো জলে, মিথ্যায় চিরঞ্জীব!
তুমি বোধহয় রক্ত চিনো না, জন্মান্ধ; কালার ব্লাইন্ড
চিনো কেবল স্বার্থের সিঁদুর, দুধেলা গাই
উল্লাসে গায় হোলির লাল আবির।

তুমি পাও না দেখতে আমজনতার কন্ঠ রোধে স্বৈরশাসক
তুমি অন্ধ বধির কালা
তুমি দেখেনি আমার ভাই পিলখানার সেই হত্যা যজ্ঞ ধ্বংস লীলা
রাতের আঁধার রাইফেল বাট বুলেটের পাঠ
নিঃস্তব্ধ শাপলা চত্বর!
দেয় না নাড়া আট বছরের আয়না ঘরের নির্মমতা?
দেখোনি লাশ,
ধ্বংসে লিপ্ত শকুন শিয়াল আর হায়েনার কীর্তি!

তুমি দেখেছো মুক্তি পাগল আমজনতার বিজয়োল্লাস
রাস্তায় নিথর ভাঙা ক'টা নিঃপ্রাণ মূর্তি,
তাতেই তোমার শরীর জ্বলে?
উৎকন্ঠায় নড়ে নাড়ি,
"গেলো গেলো" বলে গলা ফাটায় গণ্ডমূর্খ প্রগতিশীল কবি
আর তার এক চোখা এক কলম
ঘুম হারা হয় মস্তক
নখদন্তহীন গোটাকয়েক বুদ্ধিজীবির।

১১/০৮/২০২৪ইং
চট্টগ্রাম।