আগে তো সে মদের গ্লাসে, ঢেলে খেতো বরফ কুঁচি
সঙ্গে নিতো মধু মাখা ফুলকো লুচি!
আর সে এখন?
অকাল মন্দা! বন্ধ ধান্ধা
মরতে ডুবে যাচ্ছে ভোরে গঙ্গা জলে!
ভাবছো কেনো? কোন সে কারণ অকাল রোদন!
ঐ যে জ্বলে! ভীষণ জ্বলে!
চোখ মুখ নাক তার'চে বেশি বুক।

দেখছে যখন তার-ই চেয়ার, তার-ই ছাতা
চোখের সামনে পাচ্ছে শোভা অন্য কারো বগল তলে,
মশাই, তখন কি আর শান্ত থাকে অদম্য মন
পারে থাকতে অলস বসে বটের মূলে?
হাত-পা চিবোয়! মাথা ঝিমঝিম নিত্যি জ্বরে শরীর কাঁপে
কেনো আবার!
ঐ যে জ্বলে! ভীষণ জ্বলে।

কাজ তো ছিলো চৌকিদারি ধাপ্পাবাজি!
রাতের ভোটে পরের লুটে ফাও খাওয়া টা ভুরি ভুরি
মাঝে মধ্যে হম্বিতম্বি ভাব দেখানো জমিদারি!
আজকে যখন নিজের ঢেরা পরের ঘরে এমনি এমনি
তখন কি আর, পায় সে খুঁজে শক্ত মাটি চরণ তলে?
এখন তো তার কিচ্ছু টি নেই কর্ম করার, ধর্ম বলে।
শুধু কেবল হাত চুলকায় কপাল থাপড়ে চুল ছিড়ে তার পরের সুখে।
কেনো আবার!
ঐ যে জ্বলে! ভীষণ জ্বলে।
চোখ মুখ নাক তার'চে বেশি বুক।।

১০/০৯/২০২৪ইং
কুমিল্লা।