ও আবার আসবি?-
কি কাজ এসে, ভালোই আছিস স্বামীর দেশ,
এইতো সেদিন এসেই গেলি বছরটাও হয়নি শেষ।
স্বামী আছে ছেলে আছে তাদের নিয়ে থাকনা মা-
আমি হেথা ভালোই আছি আমায় নিয়ে ভাবিস না।
দিনটা আমার ভালোই কাটে রাত্রিটাও মন্দ নয়
বেতন যা পাই দু চার টাকা তা দিয়েই সব হয়।
কি বললি?-
ও আসতেই হবে। বেশ তবে আর বলবো কি,
আসবি যখন একাই আসিস ছেলেপুলে আনিস নি।
তাছাড়া তুই জানিসই তো কেমন কেমন সবকিছু
এই তো সেদিন গুলশানেতেই মরলো মানুষ বেশ কিছু।
তাই বলি শুন একাই আয় মা ঝামেলার আর কি দরকার
পরে নাহয় সবাই আসিস সময় করে আরেক বার।
ও তাই বল;-
আসবি তবে ছেলেপুলে সব নিয়ে,
বেশ তবে শুন পারিস যদি পেটুকটাকে আনিস নে-
জানিস তো তার খাবার দাবার একটু তো নয়, বেশ বেশি;
চালের দাম কত জানিস পঞ্চাশ টাকা এক কেজি,
তাই বলি শুন নন্দী আছে তার কাছেতে আয় রেখে
তোর কোন ভয় নেই মা সেই রাখবে বেশ দেখে।
এই সেরেছে।-
নন্দী ভিঙ্গী তারাও আসবে? বলিস কি!
কৈ আগে তো কোন কালে আসতে তাদের দেখিনি।
ঘরটা আমার জানিস তো মা রুম মাত্র দুইটি
তারা যদি আসে সাথে তাদের কোথায় শুতে দি।
তাছাড়া দেখ তাদের যা রূপ কোথায় কখন কি করে
কে যে কখন জঙ্গি ভেবে র্যাবের কাছে নালিশ দে।
ও তাই বল;-
বেশ তবে আয় ষষ্ঠীর দিন সকালে
ফিরতি বাসে আমিই নাহয় তুলে দেবো বিকেলে।
আমারও তো সংসার আছে জানিস তো তুই সব কথা
কেমন করে পাঁচটা দিন মা কাটাই করে তোর সেবা।
তাছাড়া তোর স্বামী আছে তার কথাটা একটু ভাব
তোকে ছাড়া চলবে কি তার পাঁচটা দিন জলখাবার।
বলছিস কি!-
মহাদেব? ও সেও আসবে তোর সাথে।
তার থেকে শুন মুগুর এনে আমার মাথায় বাড়ি দে
মরতে মরতে বেঁচে আছি তার উপরে খাড়ার ঘা
এই না হলে তুই পাষানী এমন তবে আমার মা।
বেশ তবে আয় যা আছে মোর সবই দেবো তোর পায়ে
আমার কথা একটু শুধু রাখিস তবে তোর মনে।