হিংস্র হায়নারা হা করে তাকিয়ে আছে অন্ধকার আকাশ টার দিকে
আমি জানি একদিন পুরো বাংলা এদের করায়ত হবে।
ধ্বংস হবে বাংলার মাঠ, বাংলার ঘাট, পথ ও প্রান্তর।
বিনষ্ট হবে বেহালার সুর, কবির কবিতা, ভাষ্করের ভাস্কর্য, চিত্রকরের চিত্র।
স্তব্ধ হবে পাখিদের গান, ময়ুরের নাচ, দখিনের বাতাস, ফলের মধুর গন্ধ।
ঐ লেলিহান শিখার নির্লিপ্ত আধারে ওরা হাসবে।
উন্মত্ত শয়তানের মত উন্মাদ প্রেতাত্মার মত ওরা হাসবে।
সেই বিকট বীভৎস হাসি, হিংস্র অসুরের তাণ্ডবে
প্রকম্পিত হবে বাংলার আকাশ বাতাস মাটি ও মানুষ
হিংসার বিষবাস্প ছড়িয়ে হিংস্র সরীসৃপের মত
একে একে ধ্বংস করবে বাংলার লোকায়ত শিল্প।
বন্ধ হবে বাউলের গান, বন্ধ হবে লেখকের লেখনী। স্তব্ধ হবে কবির কবিতা।
আমি শুনতে পারছি একে একে ভেঙ্গে পড়ছে মানবতা,
স্বাধীনতার স্তম্ভ, ধানমন্ডি ৩২, স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনার
আরো আরো যা কিছু শ্রেষ্ঠ, যা কিছু সার্থক, যা কিছু মহান,
যা কিছু গৌরবের গরিমা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে
আমাদের মাথার উপরে।একে একে ভেঙ্গে পড়বে সব।
এর পর ঐ শকুনের দল সব কিছু তচনচ করে ছুটবে আকাশের সূর্য টাকে গ্রাস করতে।
আমি জনি ঐ আধারে লুক্কায়িত সূর্যটাকে চির কালের মত মুছে ফেলতে
ওরা উন্মাদের মত ছুটে যাবে উদ্ধমুখে।
আর সেই সময় প্রভাতের প্রথম কিরণে রক্তিম সূর্যের আভায়
পুড়ে ছায় হয়ে যাবে সমস্ত শকুনের দল।
আমি জানি এই বিদ্ধস্ত বাংলার মাঝে আবার প্রভাত হবে।
আর সেই ধ্বংস স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে রচিত হবে অমরত্বের ইতিহাস।