রাতের প্রথম প্রহরে অজগরটা জড়িয়ে ধরলো
দমবন্ধ ,খুলে যাচ্ছে শাড়ির টুকরো টুকরো লজ্জা অন্ধকারে।
বুঝি নি বুঝতে পারি নি
আমিও যে নারী হয়ে উঠেছি।
আমার তের ,চৌদ্দ বছরের মাংসের শরীর
আকৃষ্ট করছে অজগরের চোখ।
সদ্য ফোঁটা যৌবনের বিলাপে আমি আজ অজগর ভ্রষ্ট
সদ্য ফোঁটা ফুলটা আজ লালচে চোখে।
খুলে যাচ্ছে শরীরের দরজাগুলো
অপছন্দের প্রচেষ্টায় বিরক্ত অজগর মহাশয়।
প্রচন্ড শক্তিতে পিষে চলেছে আমার শরীরটাকে
ঢুকে যাচ্ছে তলপেট দিয়ে যন্ত্রণার দাবীদার।
আমি লড়ছি সমস্ত শক্তি নিয়ে অজগরের সাথে
কে হারছে ,কে জিতছে সেটা প্রশ্ন নয়,
প্রশ্ন অজগর খুশি হলো কিনা।
শেষবার, শেষবার শক্তিশালী আস্ফালনে অজগরটা নেতিয়ে পরলো
আর আমি হলাম অজগর ভ্রষ্টা কুমারী নারী।
পুরো গল্পটা আমি বলি নি এখনো
অজগরের গুহায় বাস করে এমন অজস্র সদ্য ফোঁটা যৌবন।
আর এই যৌবনে হুল বসায় কেয়ারটেকার দাদারা
এটা যে হোমলেস জোন সমাজের ঠিকানায়।
আমার সাথে বাস করে পিতৃ ,মাতৃ হীন অজস্রকন্যা
এটা একটা সরকারী আবাসন।
সমাজের বোঝা কমানোর দায় এই আবাসনের উপরে
সমাজের চোখে এটা সেবার ভূমিকায় ,
অথচ এখানেই দলাই মোচড়ায় চলে শিশুদের সর্বস্ব ।
তারপর গল্পটা নিয়মিত
কাউকে বলা যাবে ,কাউকে শোনানো যাবে না।
দিনান্তে ইচ্ছেমত অজগর পিষে চলবে সদ্য ফোঁটা কুঁড়িকে
আওয়াজ করা চলবে না ,না হলে গলা টিপে ধরবে মহান অজগর।
মরে গেলে ক্ষতি নেই
হোমের খাতার হিসেবে কমে যাবে একটা শরীর।
মরে গেলে ক্ষতি কি
কেউ জানবে না বিল্ডিংএর মাটিতে মিশে যাবে শরীরটা।