সি.সি.ডি র নয়, পাড়ার মোড়ের গরম ভাঁড়ের চা দিয়েই
শুরু হয়েছিল প্রেমের প্রথম আবদার।
ভাঁড়ের চা-তে ঠোঁট পুড়িয়েও হাল্কা আহ্ ছাড়া
বেশি অভিযোগ কিছু শুনেনি ছেলেটা।
খালি হেসেছিল আর-
প্রেমে পড়েছিল ওই অভিযোগহীনা মেয়ের।

সকাল বেলায় কখনও ফোন বাজেনি মেয়েটার
এক মা আর দুই বোনের নিয়ে করা ছেলেটার টানাপোড়েনের সংসার
তাই সারাদিনের অফিসের খাটুনি ডিঙিয়ে গঙ্গার পাড়ে হাতে-হাত হয়ে ওঠেনি।
অবাক হয়েছিল মেয়েটা আর-
প্রেমে পড়েছিল এক সংসারি ছেলের।

একদিন তাদের প্রেম ছিল
সস্তার ঝালমুড়ির এক ঠোঙ্গায়,
একদিন তাদের প্রেম ছিল
কোঁকড়ানো ভেজা চুলে কিংবা বিনুনির শক্ত আঁটে,
একদিন তাদের প্রেম ছিল
একসাথে গাওয়া বেসুরো গানে,
একদিন প্রেম ছিল
নির্জন গলিতে অপেক্ষার।
একদিন প্রেম ছিল
নিজে হাতে লেখা আনকোরা কবিতায়,
হ্যাঁ, সত্যিই একদিন প্রেম ছিল।

তারপর একদিন এলো অভিমান
ছেলেটার চওড়া বুকের আস্তানাটাও ছোট হতে থাকল-
ক্লান্তি বাড়তে থাকল মেয়েটার-
ছেলেটা খারাপ থাকতে শুরু করলো
অভিমান আর অহং-এর চাপে
মেয়েটার সময় কেটে গেল পুরনো স্বপ্ন দেখে দেখে-

তারপর?
সেই সংসারী আর অভিযোগহীনারা
আজ অপরিচিত একে অন্যের সাথে।

ভালবাসা আর অভিমানের প্রেম খুব পুরনো
অভিমান আর ভালবাসা এক হয়ে যায় আমাদের অনেকের গল্পেই
আর তাদের প্রেমের গল্পের লেখকরা পায় শুধু যাযাবরতা।