যদি দেহের জন্যই তোমাকে ভালোবাসতাম
যদি দেহের জন্যই তোমাকে ভালোবাসতাম
তাহলে আজ আমি হতাম অনন্ত পথের পথিক।
নোনা স্বাদের আদিম উন্মাদনায় ঘুরে বেড়াতাম
ফুল থেকে ফুলে।
আজন্ম পিপাসিত চাতকের মতন চঞ্চল মেঘে
চোখ রেখে রেখে কাটিয়ে দিতাম বেলা।
আকাশে ভেসে বেড়ানো শরতের মেঘের মতন
আমিও হতাম ভাসমান প্রেমিক।
যদি দেহের জন্যই তোমাকে ভালোবাসতাম
তাহলে আমিও হতাম দুঃসাহসী কোন অভিযাত্রী
পেলব দেহের ভাঁজে ভাঁজে খুঁজে ফিরতাম
মহান স্রষ্টার হস্ত নির্মিত সৌন্দর্য।
পেয়ালা ভর্তি কামুকতা আকণ্ঠ পান করে
আমিও ভাবতাম নিজেকে আসল পুরুষ।
যদি দেহের জন্যই ভালোবাসা হতো
তাহলে আঙুলের ডগা বেয়ে
কবিতারা নেমে আসতো না।
বাৎস্যায়ন পড়েই তৃপ্তির ঢেকুরে নিমজ্জিত থাকতো
মনের প্রতিটি শিরা-উপশিরা।
নানান প্রকার কৌশলেই সীমাবদ্ধ থাকতো
দুটি হৃদয়ের লেনদেন।
যদি দেহের জন্যই ভালোবাসতাম
তাহলে কর্পূরের মতনই স্থায়ী হতো
তোমার আমার প্রণয়।
তোমাকে শুধু
ঐ নধর দেহের জন্য ভালোবাসি না।
ভালোবাসি তোমার সত্তা, প্রজ্ঞা, সরলতা
আর আমার জন্য এক পৃথিবী ব্যাকুলতা।