পেরিয়েছি আমি পদ্মা মেঘনা যমুনা
আর তাদের পানির সমান এক অস্বচ্ছ
বয়স পেরিয়ে স্বচ্ছতার ধ্বনির কণা
বলে দেয় তুমি সুকান্তের আঠারোয় পৌঁছেছো।

অবাক দৃষ্টিতে সামনে তাকিয়ে দেখি
নদী পেরিয়ে আমি পরেছি সাগরে।
অচেনা অজানা সাগরের পানি গায়ে মাখি
যার স্পর্শে স্বচ্ছ সুদীর্ঘ পথ দৃষ্টিতে পড়ে।

শুধু স্বচ্ছ নয়, শুধু স্বচ্ছ বললে ভুল হয়
সামনে পেছনে, ডানে বামে, উপরে নিচে এমনকি মনে
হাজারো রং শিশুর মতো খেলায় মেতে রয়
যার অন্তরালে আমার কচি আঠারোর রয়েছেও ভয়।

তবু সুকান্তের আঠারোয় পড়ে আমি আমাকে
মনে হয় কত অজানাকে দিয়েছি পেছনে ঠেলে।
আর সহস্র ধরনের ভয় দুর্বলতা যা ছিল এই বুকে
রিসাইকেল করে তা সূর্যের মতো চাই দিতে মেলে।

আর আত্মগোপন করে চাইনা থাকতে
অন্যায় অবিচার মুখ বুজে সয়ে
ভীরু কাপুরুষ বানিয়ে আমাকে চাইনা রাখতে
এখন চাই মহাকাব্য লিখতে আমি আমাকে নিয়ে।

আর পরাশ্রয় অবলম্বন নয়
আর আশ্রয়ের জন্য দারে দারে ঘুরে বেড়ানো নয়,
এখন সময় বটবৃক্ষের মতো দাঁড়িয়ে
ক্লান্ত বিমর্ষ রুক্ষ চেহারার পথিককে আশ্রয় দান করা।

আর চাইনা মানতে কোন বাধা
এখন চাই নজরুলের লৌহ কপাট ভেঙ্গে
হাতে পায়ে ঝুলন্ত শিকল নিয়ে
সাত আসমান পর আরশ ছুঁয়ে পেতে খোদার দিদা।

রক্ত টগবগের বয়স আঠারো সুধায় আমাকে
আঠারোর উষ্ণতায় দেশ মাতৃকার সেবা করতে হবে
অতঃপর চৈতন্য ফিরে পেয়ে, নতুন আমাকে দেখতে পাই
আমি আর দেশমাতৃকার বোঝা নই,
আজ আঠারোর রঙিন ছোঁয়ায় আমি
নানান রঙে নানান রূপে দেশমাতৃকাকে সাজাবোই
আজ আমি আঠারোর, আঠারো আমারই।